ইসরা ও মেরাজ এর শিক্ষা ও তাৎপর্য
ইসরা ও মেরাজ এর শিক্ষা ও তাৎপর্য।। মমিনুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ধর্মীয় লেখক, কুমিল্লা//
ইসরা ও মি’রাজ: অলৌকিকভাবে রাত্রিভ্রমন ও ঊর্ধ্বগমনমহান আল্লাহ কুরআনে বলেন: ‘‘পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রজনীযোগে ভ্রমন করিয়েছেন মসজিদুল হারাম (মক্কার মসজিদ) থেকে মসজিদুল আকসা (যিরূশালেমের মসজিদ) পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্য।” [সূরা ইসরা (বনী ইসরাঈল), ১ আয়াত।]এ আয়াত এবং বহুসংখ্যক সহীহ হাদীস প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগ্রত অবস্থায় সশরীরে মিরাজে গমন করেন। বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে তা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত। উপরন্তু এই আয়াতটিও তা প্রমাণ করে। কারণ ‘বান্দা’ বলতে কুরআনে সর্বত্র আত্মা ও দেহের সমন্বিত মানুষকেই বুঝানো হয়েছে। এছাড়া আমরা জানি যে, কাফিরগণ ইসরা ও মি’রাজ (নৈশভ্রমন ও ঊর্ধ্বারোহ) অস্বীকার করে এবং একে অসম্ভব বলে দাবি করে। জ্ঞান, বিবেক বা মানবীয় বুদ্ধির দৃষ্টিতে এবং ধর্মগ্রন্থাবলির নির্দেশনার আলোকে জাগ্রত অবস্থায় সশরীরের এরূপ অলৌকিক নৈশভ্রমন ও ঊর্ধ্বারোহণ অসম্ভব নয়।পরবর্তী বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও আবিষ্কার মিরাজের সত্যতা প্রমাণিত করেছে।]শুধু এতটুকু বলা যায় যে, বিষয়টি অসম্ভব নয়, তবে অস্বাভাবিক বা সাধারণ নিয়মের বাইরে। সকল অলৌকিক কর্মই অস্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক বলেই তো অলৌকিক চিহ্ন বলে গণ্য করা হয়।
হাদিসে কুদসি :: উম্মতে মুহাম্মাদির ফযিলত হাদিস ৯৪ : মালিক ইবনু সা‘সা‘ থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেছেন: ... এখানে তিনি মেরাজের হাদিস বর্ণনা করেন, তাতে রয়েছে, “অতঃপর আমার ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত স্বলাত ফরজ করা হয়, অতঃপর ------তা পাঁচ করে দেয়া হয়। অতঃপর ঘোষণা দেয়া হয়: নিশ্চয় আমি আমার ফরদ্ব বাস্তবায়ন করেছি, আমার বান্দাদের থেকে হালকা করেছি, আমি এক নেকির প্রতিদান দিব দশ”। [বুখারি ও মুসলিম]। কোন ব্যক্তি যদি প্রতি মাসে কিছু নফল সওম রাখে সে এমাসেও সেই ধারাবাহিকতা অনুযায়ী এ মাসে সওম রাখতে পারে, শেষ রাতে উঠে যদি নফল নামাযের অভ্যাস থাকে তবে তবে এ মাসের রাতগুলিতেও নামায পড়তে পারে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সকল অবস্থায় তাওহীদ ও সুন্নাহর উপর আ‘মাল করার তাওফীক দান করুন আমীন।
লেখক: মমিনুল ইসলাম মোল্লা, ধর্মীয় লেখক, শিক্ষক ও সাংবাদিক ,কুমিল্লা।
No comments