মুমিন নারী গড়েন দ্বীনি পরিবার
মুমিন নারী গড়েন দ্বীনি পরিবার
মমিনুল ইসলাম মোল্লাসুর া নূরে র ৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ব্যাভিচার ী পুর æষ কেবল ব্যাভিচার ী নার ী অথবা মুশরি কা নার ীকে বিয়ে করে এবং ব্যাভিচার ীনীকে কেবল ব্যাভিচার ী অথবা মুশরিক পুর æষই বিয়ে কেের । এবং এদেরকে মুমিনদের জন্য হার াম কর া হয়েছে। সুতর াং দ্বিনী পরি বা র গড়ে তুলতে হলে একজন মুমিন পুর æষ একজন মুমিন নার ীকে বিয়ে কর বেন। স্বামীর সকল বৈধ কাজে মুমিন নার ী সহযোগীতা কর বেন। আমাদের সমাজে কিছু কিছু স্ত্রী লোক আছেন যাদের চাহিদার কোন শেষ নেই। তাদের চাহিদা পূর ণের জন্য পূর æষের া অক্লান্ত পরি শ্রম করে । তার পর ও যখন চাহিদা পূর ণ কর তে না পারেন তখন বাধ্য হয়ে অবধৈ পথে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করে ন। এত গৃহীনি খুশি হয়ে স্বামীকে বাহবা দিয়ে থাকেন। আমাদের মা-বোনের া ইচ্ছে কর লে আমাদের পরি বারে কে সর্বপ্রকার পাপ কাজ , অসৎ কাজ তথা সমাজবির াধেী কাজ থেকে র ক্ষা কর তে পারেন। এক্ষত্রে তাদের আন্তরিকতাই যথেষ্ট। প্রত্যেক স্বামীর উচিত তার স্ত্রীর কল্যাণের জন্য দোয়া করা । আর এ দোয়াটি হতে পারে এরকম “ আমাদের প্রভূ! আমাদের স্ত্রীদের থেকেও আমাদের সন্তান -সন্ততির থেকে চোখ জুড়ানো আনন্দ আমাদের প্রদান করে া। আর আমাদের তুমি বানিয়ে দাও ধর্মপর ায়নদের নেতৃস্থানীয় (আল ফোর কান ৭৪)। আল্লাহ বলেন, মুমিন পুর æষ ও মুমিন স্ত্রীলোক পরস্পরে র বন্ধু ও সাথী। তার া যাবতীয় ভাল কাজের নির্দেশ দেয় , সব অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বির ত র াখে, নামাজ কায়েম করে জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তার র াসুলের আনুগত্য করে ( তাও বা ৭১) মুসনাদে আহমাদে বলা হয়েছে, হযর ত ইবনে মাসউদ (র াঃ) হুযুরে আকর াম (সাঃ) এর বাণী এভাবে বর্ণনা করে ছেন, “ জান্নাতে প্রবেশের সময় সবচেয়ে অগ্রগামী ঐসমস্ত মহিলাগন হবেন যার া দ্বীনের ব্যাপারে অগ্রগামী। ”মুমিন নার ী হবে এমন নার ী -যে রবের ইবাদত কর বে সুন্দর ভাবে, স্বামীর সাথে আচর নে হবে নান্দনিক সন্তাসনদের প্রতিপালনে আদর্শ মা এবং সংসার পরি চালনায় হবে আদর্শ ঘর নী।
স্ত্রী স্বামীকে ধর্মীয় সকল কাজে সাহায্য কর বেন। পাশাপশি সকল হার াম কাজ থেকে বিরত র াখবেন। তবে এক্ষেত্রে বাড়াবড়ি কর া যাবে না। আল্লাহ পাক পবিত্র কুর আনে বলেন, তুমি চাইছ তোমার স্ত্রীদের খুশি কর তে ? আর আল্লাহ পরি ত্রানকার ী, অফুর ন্ত ফলদাতা ( আত তাহরিম-১)স্বামীর প্রতি অনুগত থাকা প্রতিটি স্ত্রীর কর্তব্য। স্বামীর প্রতিটি কথা মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং তার আদেশের প্রতি গুর æত্ব দিতে হবে। স্বামীর হুকুমের উপর যে কোন মূল্যে আমল কর তে হবে। মুমিন নার ী সব সময় স্বামীর পছন্দ -অপছেন্দের প্রতি খেয়াল র াখে। মুমিন নার ীর কর্তব্য স্বামীর ধ্যান ধার ণা , চিন্তা-চেতনা, চাহিদা-আকাংখা, কামনা-বাসনা, ইত্যাদির সাথে খাপ কাইয়ে চলা। তবে মনে র াখতে হবে যে স্বামীকে সন্তুষ্ট কর তে গিয়ে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট কর া যাবে না। দাড়ি র াখা পুর æষের জন্য সুন্নত। এ সুন্নতটি পালন কর তে অনেক সময় নার ীর া বাধা দিয়ে থাকেন । এটি মোটেও ঠিক নয়।
দ্বীন পালনে ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী কোন কোন ক্ষেত্রে বিরে াধিতা কর তে পারে । এক্ষেত্রে মুমিন পুর æষদের কে সাবধান থাকতে হবে।কোন বড় আলেমের স্ত্রীও যদি পাপী হন তাহলে পর কালে তিনি পাপীষ্টদের দলভূক্ত হবেন। লুত নবীর স্ত্রীকেও আল্লাহ ক্ষমা করে ননি। এব্যপারে পবিত্র কুর ান মজিদে বর্ণিত হয়েছে,“ আমর া অবশ্যই তাকে এবং তার পরি বার বর্গকে উদ্ধার কর ব। তার স্ত্রী ব্যতিত, সে হচ্ছে পেছনে পড়ে থাকাদের দলের অন্তর্ভুক্ত” ( আনকাবুত-৩২)। কার ণ স্ত্রীর সহযোগীতা ছাড়া দ্বীনি পরি বার গঠন কর া সম্ভব নয। বিশেষ করে তাহাজ্জুদ ও ফজরে র নামাজ নিয়মিতভাবে আদায় কর তে হলে স্ত্রীর সহযোগীতার প্রয়োজন হতে পারে । স্বামী যখন র াতে উঠে নফল নামাজ পড়েন তখন স্ত্রীর বির ক্ত হওয়া উচিত নয়। আমর ইবনু আলী (র হঃ) ÑÑÑআয়েশা (র াঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, র াসুল (সাঃ) সালাত আদায়ের সময় আমি তাঁর ও কিবলার মাঝখানে শুয়ে তাকতাম। তিনি যখন সিজদা কর ার ইচ্ছা কর তেন তখন আমার পা দুটোতে টোকা দিতেন। আমি আমার পা দুটি গুটিয়ে নিতাম। (সহিহ বুখারি ) আবু হুর ায়র া (র াঃ) থেকে বর্ণিত র াসুল (সাঃ) ইর শাদ করে ছেন, ঐ মহিলার উপর অঅল্লাহর র হমত নাজিল হোক যে র াতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে এবং নিজের স্বামীকেও তাহাজ্জুদের জন্য উঠায়। যদি স্বামী “না” বলে অর্থাৎ না উঠতে চায় তাহলে চোহার ায় পানি ছিটায়। ”আমাদের সমাজে মুমিন স্ত্রীর খুবই প্রয়োজন। যার া আদর্শ স্ত্রী পেতে চায় । আল্লাহ তুমি তাদের অন্তরে তোমার হুকুম মান্য কর ার , এবং নবিজীর আদর্শ অনুযাযী চলার তওফিক দাও । মুমিন নার ী ও মুমিন পুর æষ এবং তাদের তাকওয়াবান ছেলে-মেয়েদের মাধ্যমে একটি আদর্শ দ্বিনী পরি বার গড়ে উঠতে পারে । অঅর এভাবেই গড়ে উঠতে পারে ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা। লেখকঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক , সাংবাদিক ও ধর্মীয় গবেষক,
কুমিল্লা।
No comments