সুষ্ঠু সমাজ গঠনে ইমামদের ভূমিকা
সুষ্ঠু সমাজ গঠনে ইমামদের ভূমিকা
মমিনুল ইসলাম মোল্লাইমাম আরবি শব্দ। আরবি ভাষার বিশিষ্ট অভিধান “ লিসানুল আরবে ” বলা হয়েছে “ মানুষ যার যার অনুসরণ করে, তাকে ইমাম বলে। “ ফিকাহ বিশ্বকোষে” বলা হয়েছে – ইমাম তাকেই বলা হয় -কোন সমুদয় যার অনুসরন করে। ইমাম ও ইমামতি ইসলাম ধর্মের এবং মুসলিম সমাজের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। বৃহৎ অর্থে পরিবার, গ্রাম সমাজ দেশ ও জাতি সকল পর্যায়ে ইমামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সংক্ষিপ্ত অর্থে ইমামত হচ্ছে নামাজের ইমামত। যে ব্যক্তি নামাজের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয় আর নামাযীরা তার অনুকরণ করে থাকেন। ইমাম বিশেষ জ্ঞানে পারদর্শী এবং জনসাধারণের অনুসরনীয় ব্যক্তি হবেন। ইমামতি পবিত্র কাজ। রাসুলে আকরাম সাঃ থেকে শুরু করে চার খলিফা, প্রত্যেক্ষভাবে ইমামতি করেছেন। এছাড়া অনুকরনীয় আদর্শ হিসাবে ইমাম বুখারি, ইমাম হানিফা, মালেক, শাফেয়ী, ইমাম হাম্বলী ইত্যাদি উলামাগন ইমাম নামে পরিচিত। রাসুল সাঃ এর যুগে মসজিদে নববী শুধু নামাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। সমাজ ও রাষ্ট্রের বহু কাজ এখানে থেকেই সম্পাদন করা হত। ইউরোপ- আমেরিকার মসজিদগুলোতে সংক্ষিপ্ত আকারে বহু কাজ সম্পাদিত হচ্ছে । আমাদের মসজিদগুলোতে তা হচ্ছে না। রাসুল সাঃ এর যুগে কিংবা খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে ইমামতিকে কেউ পেশা হিশাবে নেননি।তবে মসজিদে নবীর ইমাম হিসেবে বায়তুল মাল থেকে খোলাফায়ে রশেদীন অর্থ নিয়েছেন বলে জানা যায়। বায়তুল মাল বা সরকারি ব্যবস্থাপনার অবর্তমানে যদি কোন সংস্থা বা মসজিদ কমিটি ইমামদের মাসিক সাহায্য বা অনুদান দেয় তাহলে তা বায়তুল মালের মতই গন্য করে। ইমাম সাহেব তার প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ নিতে পরবেন। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থ লাভের নেশায় তিনি নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারবেন না। একজন ইমামের দায় দায়িত্ব সম্পর্কে রাসুলে আকরাম সাঃ বল্লেন, “ ইলম আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে অর্জন করা হয়। কেউ যদি তা কেবল পার্থিব উদ্দেশ্যে করে তবে সে জান্নাতের সুগন্ধ পাবে না ” ( আহমদ২/৩৩৮)। মসজিদ এলাকার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের ইমাম সাহেব অংশ নিবেন ইসলাম প্রচারের স্বার্থে। তাই দাওয়াত না পেয়ে সেখানে উপস্থিত হওয়া যাবে না। কেউ ইচ্ছে করে হাদিয়া দিলে তা গ্রহণ করা যাবে। আত্ম মর্যাদার দিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। এ কথা ঠিক আমাদের দেশে ইমাম – মুয়াজ্জিনদের বেতন কম। তাই তারা অনেক সময় হীনমন্যতায় ভোগেন। নিজের অভাব অনটন ও মুখাপেক্ষিতায় সবার কাছে পেশ না করা তার হাভবাবে প্রকাশ করা যাবে না। এতে আপনি কারো কারো কাছে উপহাসের পাত্র হয়ে যেতে পারেন।
ইসলামের দ্বিতীয় রোকন নামাজ। পুরুষরা জামাতে নামাজ পড়তে হয়। ইমাম ব্যাতীত জামাতে নামাজ পড়া সম্ভব নয়। ইমামদের প্রসঙ্গে নবি করিম সাঃ বলেন- ইমাম হচ্ছে জিম্মাদার আর মুয়াজ্জিন আমানতদার। হে আল্লাহ তুমি ইমামদের সঠিক পথ দেখাও এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা কর ( অঅবু দাউদ)। তাই জামাতে নামাজ পরিচালনা করা ইমামের প্রধান দায়িত্ব। তবে শুধুমাত্র নামাজ পরিচালনা করাই ইমামের একমাত্র কাজ নয়। রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়াএবং রমজানের গুরুত্ব ও মাহাত্ব বৃদ্ধির লক্ষে মসজিদ কমিটি অন্যান্য কর্মসূচী হাতে নিতে পারে। এসময় প্রতিদিন বিষয়ভিত্তিক দারসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কোরন তিলাওয়াতের বিশেষ কর্মসূচী নেয়া যেতে পারে। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, “ অথবা তদাপেক্ষা বেশী কোরান আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্তভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে ( মোজাম্মেল ৪)। মসজিদের খাদেম, ইমাম, মুয়াজ্জিন, ও খতিবের বেতন মসজিদের নিজস্ব সম্পদ থেকে দিতে হবে। এছাড়া দানশীল ব্যক্তি অথবা সমিম্মলিতভাবে এ ব্যায় বহন করা যেতে পারে। তবে এ ব্যায় বহনে ইখলাস থাকতে হবে। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন-“ যারা দুনিয়ার জীবন আর তার শোভা সৌন্দর্য কামনা করে, তাদেরকে এখানে তাদের কর্মের পুরোপুরি ফল আমি দিয়ে দেই। আর তাতে তাদের প্রতি কোন কমতি করা হয় না। কিন্তু আখেরাতে তাদের জন্য আগুন ছাড়া কিছুই নাই, এখানে যা কিছু তারা করেছে তা, নিষ্ফল হয়ে গেছে , আর তাদের যাবতীয় কাজকর্ম ব্যর্থ হয়ে গেছে ( হুদ ১৫-১৬)। মসজিদের দৈনন্দিন খরচ পরিচালনা ও বিশেষ কমিটিগুলো বাস্তবায়ন করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই ধনাঢ্য ব্যক্তিদের একটি তালিকা তৈরি করে তাদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখতে হবে। বিশেষ করে যে সব মুসল্লী প্রবাসে অবস্থান করে তাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। একজন ইমাম সাহেব মসজিদ কমিটির সাথে আলোচনা করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। তাই একজন ইমামকে হতে হবে সফল পরিকল্পনাকারক। তবে এ পরিকল্পনায় শুধুমাত্র মসজিদ নামক প্রতিষ্ঠানটির আকার-আয়তন বৃদ্ধি, টাইলস লাগানো, কিংবা এসি লাগানোই পরিকল্পনার মধ্যে থাকবে না। যারা মসজিদ আবাদ করে তাদের ইমান –আমলের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইমাম সাহেবের প্রধান দায়িত্ব নামাজ পরিচালনা করা। তার নেতৃত্বে একটি সালাত কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এ কমিটি মসজিদে উপস্থিত নামাযীদের নামাজ পড়ার পদ্ধতি তদারকি, যারা মসজিদে আসেনা তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখবে। তাদের নামাজ ছাড়ার ভয়াভহ পরিনতির কথা স্মরণকরিয়ে দেবে। মুসল্লীর সংখ্যা ও উপযুক্ত সময়ের দিকে খেয়াল রেখে দৈনন্দিন কোন নামায শেষে সংক্ষিপ্ত ১০-১৫ মিনিট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হল কোন তাফসীর , হাদীস বা নির্ভরযোগ্য আলেমের বই ধারাবাহিকভাবে পাঠ করে বুঝানো। এক্ষেত্রে আকীদা পাক পবিত্রতা , নামাজ শিক্ষা , হালাল-হারামকে বিষয় হিসাবে বেছে নেয়া যেতে পারে। কোরান নাযিল হয়েছে রাসুল সাঃ এর মাতৃভাষায়। হাদিসগুলোও লিখা হয়েছে আরবী ভাষায়। তাই প্রয়োজনে আরবী ভাষা ব্যবহার করলেও জনগণকে মাতৃভাষায় তা বুঝিয়ে দিতে হবে। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন, “ আমি আপনার ভাষায় কোরানকে সহজ করে দিয়েছি যাতে তারা স্মরণ রাখে ( আদ দুখান -৫৮)। তাই ইমামকে মাতৃভাষা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে। ইমাম সাহেব সব সময় ইসলাহী ও দাওয়াতী কাজের সাথে জড়িত থাকবেন। তিনি সহজে মানুষের মন-মানসিকতা বুঝতে চেষ্টা করবেন। সেজন্য মনোবিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবেন। তার টার্গেট থাকবে জুম্মার নামাজে যে সব মুসল্লী মসজিদে উপস্থিত থাকেন তাদের সকলকে ফজরের নামাজে উপস্থিত করা। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, আপনার পূর্বে আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে ( আন নাহল-৪৩)। বেশি জ্ঞান লাভ করা যায় ইসলামী লাইব্রেরী তৈরি করে। মসজিদের আওতাভূক্ত সকল মুসল্লীও তাদের স্ত্রীলোককেদেরকে এ লাইব্রেরীর সদস্য করে নিতে হবে। এ লাইব্রেরীতে কুরান, হাদিস, তাফসীরসহ বহু ধরণের ইসলামী বই সুরক্ষিত করে রাখতে হবে। প্রত্যেক সদস্য নির্দিষ্ট সংখ্যক বই ক্রয় করে দেওয়ার অরুরোধ জানানো যেতে পারে। বই শুধু সংগ্রহ করলেই হবে না, সদস্যরা যাতে নিয়মিত বই পড়ে সেজন্য তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। প্রয়োজনে পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। মসজিদের আওতাধীন মুসল্লীরা একাকী যে, যাকাত অথবা নফল দান করে থাকেন তা একত্রিত করে একটি কল্যাণ ফান্ড গঠন করা যায়। এ ফান্ড সংগ্রহ ও বিতরনের জন্য একটি কল্যাণ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। গরীব এতিম বিধবা ও অসহায়দের তালিকা তৈরি করে তাদের মধ্যে তা বিতরণ করা যেতে পারে।
দ্বীন শিক্ষার জন্য নারী-পুরুষ একত্রে ব্যবস্থা করলে সুফল পাওয়া যায় না। তাই সম্ভব হলে শিশু-কিশোর ও নাবালিকা মেয়েদের একটি গ্রæপ, বয়স্ক মহিলাদের একটি গ্রæপ এবং বয়স্ক পুরুষদের জন্য আরেকটি গ্রæপ করা যেতে পারে। কোন বিশেষ দিবস বা মৌসুমে লিফলেট বা প্রচারপত্রের মাধ্যমে কোরান ও হাদিসর বানী প্রচার করা যায়। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন- কিন্তু আল্লাহতায়ালার বাণী পৌছানো ও তার পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অমান্য করে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি তারা চিরকাল থাকবে। ( আল জ্বিন -২৩)। যেসব মসজিদে প্রচুর পরিমানে যায়গা আছে সেখানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হেফয এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কোরানের বিশেষ বিশেষ আয়াতগুলো অর্থ সহকারে মুখস্ত করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন লোকদের নিয়ে একটি মিডিয়া কমিটি গঠন করা যেতে পারে। জুম্মার খুৎবা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ লেকচার ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করা যেতে পারে। এছাড়া মুসল্লীদের সহায়তায় খুৎবা প্রিন্ট করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়া মসজিদের নামে ওয়েবসাইট খুলে বিশ্বব্যাপী ইসলাম প্রচারের ব্যবসথা করা যেতে পারে। কল্যাণ কমিটি স্বাস্থ্য-সেবায় ও অবদান রাখতে পারে। প্রতি মাসে একবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা যেতে পারে। অসহায় ও গরীব লোকদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে যোগাযোগ রক্ষা করা যেতে পারে। অনেক মসজিদের নিয়ন্ত্রণে কবরস্থান তাকে। কেউ মারা গেলে কবর করা, গোসল করানো, দাফন- কাফনের ব্যবস্থা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর মাধ্যমে করা যেতে পারে। প্রত্যেক কমিটির একজন আহবায়ক থাকবেন। এক্ষেত্রে ইমাম সাহেব নেতৃত্ব দিবেন। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন-আর আমি মানুষকে তার পিতা -–মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি ( লোকমান-১৪০ )। সমাজে অনেকের সামর্থ থাকা সত্বেও মা-বাবার সাথে ভাল ব্যবহার করেন না , তাদের বাসস্থান, খাবার-দাবার ও চিকিৎসার ব্যাপারে অবহেলা করেন। এ ব্যাপারে খোজ -খবর নিয়ে ইমাম সাহেব উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে রেখে অনেক সময় মা-বাবা দুজন অথবা একজন মুত্যুবরণ করেন। তখন এই নাবালক ছেলে-মেয়েরা সমস্যায় পড়ে। মা মারা গেলে এতিম হিসাবে পরিচিতি লাভ না করলেও বাবা মারা গেলেও সমস্যা হয়। এক্ষত্রে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের যাতে কোন প্রকার সমস্যা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা যেতে পারে। তারা যাতে সমাজ থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। একটি মসজিদ এলাকার মুসল্লীদেরও প্রায় অর্ধেক নারী। তাদেরকে ঈমান- আকিদা শিক্ষা দেয়ার দায়িত্বও আমাদের। তাই সকাল বেলার মক্তব ছাড়াও মসজিদে অথবা মসজিদের নিকটবর্তী কোন বাড়িতে তাদেরকে দ্বীনী শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন- আমি কোরানকে বোঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি অতএব কোন চিন্তশিীল আছে কি ? ( আল বাকারা-৩২)। তাই মহিলারা যেন সহজে কোরান বুঝতে পারে সেজন্য পৃথক ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রতিটি মসজিদের পক্ষ থেকে বছরে কমপক্ষে একবার ওয়াজ মাহফিলের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়া খুৎবা দেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ আলেমদেরকে দাওয়াত দেয়া যেতে পারে। ইন্টারনেট থেকে ধর্মীয় লেকচার ডাউনলোড করে মুসল্লীদের মোবাইলের মেমোরীতে লোড করে দেয়া যেতে পারে। ইমামকে সঠিকবাবে দায়িত্ব পালন করতে হলে তিনি রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত হতে পারেবেন না। এতে কোন কোন দলের লোকেরা তাকে পছন্দ করলেও অন্যান্য দলের লোকেরা তাকে ভাল চোখে দেখবেন না। মসজিদের নেতৃত্বে নিয়মিত জামাতেনামাজ পড়েন এমন ব্যক্তিগন বাদে অন্য কোন ব্যক্তি থাকতে পারবেন না। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন, “ নিসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ইমান এনেছে, আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত , আল্লাহ ব্যাতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায় তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে ( আত তাওবা -১৮)
লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা, প্রভাষক ও ধর্মীয় গবেষক, কুমিল্লা। ০১৭১১৭১৩২৫৭ সধসরহসড়ষষধয@ুধযড়ড়.পড়স
১০.০৬.১৭
ওহির আলোকে- ইমামদের ভূমিকা
একজন ইমামের দায় দায়িত্ব সম্পর্কে রাসুলে আকরাম সাঃ বল্লেন, “ ইলম আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে অর্জন করা হয়। কেউ যদি তা কেবল পার্থিব উদ্দেশ্যে করে তবে সে জান্নাতের সুগন্ধ পাবে না ” ( আহমদ২/৩৩৮)।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, “ অথবা তদাপেক্ষা বেশী কোরান আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্তভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে ( মোজাম্মেল ৪)।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন-“ যারা দুনিয়ার জীবন আর তার শোভা সৌন্দর্য কামনা করে, তাদেরকে এখানে তাদের কর্মের পুরোপুরি ফল আমি দিয়ে দেই। আর তাতে তাদের প্রতি কোন কমতি করা হয় না।
। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন-আর আমি মানুষকে তার পিতা -–মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি ( লোকমান-১৪০ )।
কিন্তু আখেরাতে তাদের জন্য আগুন ছাড়া কিছুই নাই, এখানে যা কিছু তারা করেছে তা, নিষ্ফল হয়ে গেছে , আর তাদের যাবতীয় কাজকর্ম ব্যর্থ হয়ে গেছে ( হুদ ১৫-১৬)। ম
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন, “ আমি আপনার ভাষায় কোরানকে সহজ করে দিয়েছি যাতে তারা স্মরণ রাখে ( আদ দুখান -৫৮)।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, আপনার পূর্বে আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে ( আন নাহল-৪৩)।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন- কিন্তু আল্লাহতায়ালার বাণী পৌছানো ও তার পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অমান্য করে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি তারা চিরকাল থাকবে। ( আল জ্বিন -২৩)।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন-আর আমি মানুষকে তার পিতা -–মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি ( লোকমান-১৪০ )।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন- আমি কোরানকে বোঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি অতএব কোন চিন্তশিীল আছে কি ? ( আল বাকারা-৩২)।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন, “ নিসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ইমান এনেছে, আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত , আল্লাহ ব্যাতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায় তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে ( আত তাওবা -১৮)
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
No comments