পাপ থেকে বেঁচে থাকার দোয়া
পাপ থেকে বেঁচে থাকার দোয়া
মমিনুল ইসলাম মোল্লাদোয়া এক ধরণের ইবাদত। ইবাদতের যেমন নির্দষ্ট নিয়ম কানুন আছে। দোয়ার ও তেমনি নির্দষ্ট নিয়ম আছে। আল্লাহর প্রশংসা এবং নবি (সাঃ) এর উপর দরুদ ও সালাম পেশ করার পর নিজের মনের কথা আল্লাহকে বলতে হবে। বলার ভাষা হবে মোলায়েম , ভীতিসহকারে ও আবেগপূূর্ণ । যেভাবে আইয়ুব (আঃ) ব্যাধিগ্রস্ত হওয়ার পর ,যাকারিয়া (আঃ) নিঃসন্তান হলে ,ইউনুস (আঃ) মাছের পেটে গেলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ কোরানের মাধ্যমে যেসব দোয়া শিখিয়েছেন , রাসুল (সাঃ) যেভাবে দোয়া করেছেন সেভাবেই দোয়া করতে হবে। কোরান মজিদে নূহ (আঃ) এর প্লাবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্লাবনের সময় নুহ (আঃ) আল্লাহর অদেশে অনুগত ও প্রয়োজনীয় ব্যক্তি ও প্রাণীকে নৌকায় তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার ছেলে পিতার আহবানে সাড়া না দিয়ে দূরে সরে গেলে এক তরঙ্গ এসে তাকে ডুবিয়ে দিল। তাই নিজের আমল ছাড়া অন্য কারো সুপারিশে জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না। আমরা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় পাপ করার পর ক্ষমা প্রার্থনা করি।এর চেয়ে ভালো হলো পাপ কাজে আমরা যাতে লিপ্ত না হই সে জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা। রাসুল (সাঃ) দ্বীনকে সহজ করে দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন, হালাল জীবিকার জন্য দোয়া করতেন। আখিরাতে হিসাব সহজ করে দেয়ার জন্য দোয়া করতেন। এছাড়া কল্যাণকর ব্যাপারে আধিক্যতা এবং অকল্যাণকর ব্যাপারে থেকে দূরে থাকার জন্য দোয়া করতেন। পবিত্র কুরান মজিদে আছে,“ তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক ( আমার নিকট দোয়া কর), আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। ( আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। যারা অহংকারে আমার উপাসনায় ( আমার কাছে দোয়া করা হতে ) বিমুখ ওরা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” রাসুল (সাঃ) বলেন, নিশ্চয় তোমাদের প্রভূ লজ্জাশীল ও অনুগ্রহপরায়ন। বান্দা যখন তার দিকে দুই হাত তুলে তখন তা শূণ্য ও নিরাশভাবে ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ লজ্জাবোধ করেন ( আবু দাউদ) । অন্য এক হাদিসে আছে- যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না আল্লাহ ক্রোধান্বিত হন ( তিরমিযি)। একনিষ্ঠভাবে নরম মনে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। দোয়ার সময় আমরা আরবি ভাষায় যা বলি এগুলোর অর্থ জানতে হবে। তোতা পাখীর মতো মুখস্ত দোয়া আওড়ালে দোয়া প্রাণবন্ত হয় না। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে নীরবে নীরবে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। দোয়া করার সময় আল্লাহকে ভয় করতে হবে। যে ব্যক্তি একাকী আল্লাহর ভয়ে অশ্রæ ঝড়ায় সে হাশরের ময়দানে আল্লাহর আরশের ছায়ায় থাকবে; যে দিন আরশের ছায়া বাদে আর কোন ছায়া থাকবে না।খুব জোরে অথবা চিল্লাচিল্লি করে দোয়া জিকির করা যাবে না। হযরত আবু মুসা (রাঃ) বলেন, আমরা কোন সফরে নবি (সাঃ) এর সাথে ছিলাম। লোকেরা জোরে-শোরে তাকবীর পড়তে শুরু করল। তখন নবি (সাঃ) বলেন, হে লোক সকল! নিজেদের উপর কৃপা কর। নিশ্চয় তোমরা কোন বধির অথবা কোন ( দূরবর্তী) অনুপস্থিতকে আহবান করছো না। বরং তোমরা সর্বশ্রোতা নিকটবর্তীকে আহবান করছ। তিনি (তার ইলমসহ) তোমাদের সঙ্গে আছেন (বুখারি৫/৭৫)। ফরজ সালাত শেষে হওয়ার সাথে সাথে অর্থাৎ সালাম ফেরানোর কয়েক সেকেন্ডর মধ্যে কেউ কেউ রাব্বানা যালামনা ----দিয়ে দোয়া শুরু করেন। দুনিয়ার জীবন, সম্পদ , টাকা-পয়সা ইত্যাদিকে আমরা বেশি গুরুত্ব দেই। অথচ সাহাবাগণ দুনিয়ার জীবনকে এমনভাবে দেখেছেন যেন তারা বিদেশি পথিক! সময় হলেই নির্দিষ্ট স্থানে চলে যাবেন। ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন- তোমরা সন্ধ্যা হলে আর সকাল হওয়ার অর্থাৎ সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার আশা করবে না। আর সকাল হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেঁচে থাকার আশা করবে না। রাসুল (সাঃ) স্বর্ণমুদ্রা , রৌপ্যমুদ্রা ও সম্পদের দাসদের ( অর্থলিপ্সু হিনমণ্য লোক) লানত করেছেন। আল্লাহ বলেন, যে কেউ পরকালীন ফসল চায়, তার ফসল আমি বৃদ্ধি করি। আর যে লোক দুনিয়ার ফসল চায়, তাকে দুনিয়া হতেই দান করি; কিন্তু পরকালে তার কিছুই প্রাপ্য হবে না (আশ শুরা-২০)। অভাবের কারণে আমরা পাপে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এব্যাপারে আমরা বলব- হে আল্লাহ তুমি আমার অপরাধ ক্ষমা কর, আমার গৃহ প্রশস্ত কর এবং আমার রুযিতে বরকত দাও।” আমানতের খেয়ানত মারাত্মক গুনাহের কাজ। এ গুণাহ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমরা বলতে পারি “ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ক্ষুধা থেকে পানাহ চাচ্ছি , কারণ তা নিকৃষ্ট শয়ন-সাথী। আর আমি খেয়ানত থেকেও পানাহ চাচ্ছি। কারণ তা নিকৃষ্ট সহচর।” অসৎ সাথী ও মন্দ প্রতিবেশী মুমিন ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই তাদের ব্যাপারে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে (হাকেম১/৫৩২) থেকে একটি দোয়া আমরা জানতে পারি। এটি হচ্ছে , হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট স্থায়ী আবাসস্থল , অসৎ প্রতিবেশী থেকে পানাহ চাচ্ছি, যেহেতু অস্থায়ী আমরা যাতে সঠিকভাবে ইবাদত করতে পারি সে জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইব, তাই নামাজ শেষে বলব, আল্লাহুম্মা আইন্নী, আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনী ইবাদাতিকা।”
শয়তান মানুষকে পাপ কাজে উ™ভুদ্ধ করে। তাই শয়তান থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। শয়তান থেকে দূরে থাকার জন্য“ আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানীর রাজিম” বলা উচিত। তিরমিজি শরিফে এসেছে শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রসুল এ দোয়া করতেন,“ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের অসিলায় তার ক্রোধ ও শাস্তি থেকে তার বান্দাদের অনিষ্ট থেকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে এবং তাদের আমার নিকট উপস্থিত হওয়া থেকে অশ্যয় প্রার্থনা করছি। ( তিরমিজি৫/৫৪১) বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, আলস্য দোষের আকড়। অলসতার কারণে ( ইচ্ছে থাকা সত্তেও) অনেক মুমিন ব্যক্তি ফজরের নামাজের সময় জামাতে উপস্থিত হতে পারেন না। অলসতা আরো বহু পাপের কারণ। তাই আলস্য, দুশ্চিন্তা, অক্ষমতা থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। আমরা এজন্য এ দোয়া করতে পারি। “ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট দুঃশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা, অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, ভীরুতা, ঋণের ভার এবং মানুষের প্রতাপ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি ( বুখারি)। শুধুমাত্র নিজের অন্তর নয় দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকেও পাপের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলোর মাধ্যমেও আমরা পাপ করে থাকি। হাদিসে আছে- দু চোখের যিনা পর স্ত্রীর প্রতি নজর করা, দুকানের যিনা হলো উত্তেজেক কথাবর্তা শ্রবণ করা। মুখের যিনা আলোচনা করা, হাতের জিনা স্পর্শ করা, পায়ের যিনা খারাপ কাজে যাতায়াত করা ( বুখারি)। আমরা যাতে দ্বীনের উপর আমল করতে পারি সেজন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। আল্লাহর কাছে আমরা দুহাত তুলে বলব , “ হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে আবর্তনকারী ! তুমি আমাদের হৃদয়সমূহকে তোমার আনুগত্যের উপর আবর্তিত কর। আরো বলব, “ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়েত ও সঠিক পথ প্রার্থনা করছি। অসৎ কাজ যেন আমাদের মাধ্যমে না হয় সেজন্য আল্লাহর সাহায্য চাইব। কারো প্রলোভনে পড়ে যাতে পাপ কাজে লিপ্ত না হই। সে জন্য আমরা বলব, হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র , অসৎকর্ম, কৃপ্রবৃত্তি এবং কঠিন রোগসমূহ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি”(ইবনে মাজাহ)। অন্তরে শয়তানের ওয়াছওয়াছার কারণে আমরা পাপ কাজে লিপ্ত হই। তাই আমাদের অন্তর যেন পাপের দিকে ধাবিত না হয় সেজন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইব। এজন্য আমরা বলতে পারি- “ হে আমাদের প্রতিপালক ! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘনে প্রবৃত্ত করো না। “ তোমার নিকট থেকে আমাদের প্রতি রহমত দান কর। নিশ্চয় তুমি সবকিছুর দাতা ( ইমরান-৮)। সন্তানকে যদি আল্লাহ ও আল্লাহর ও রাসুলের আদর্শে উজ্জিবীত করতে না পারেন তাহলে আপনি এর জন্য জাহান্নামে যেতে পারেন। তাই আপনি আল্লাহর কাছে বলবেন, “ হে আমাদের প্রভূ! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয় তুমি প্রার্থনা কবুলকারী ( ইমরান-৩৮)। শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টির মাধ্যমে আমরা পাপ করি। তাই আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব “ হে আল্লাহ তুমি আমার দেহকে হেফাজত কর। হে আল্লাহ তুমি আমার শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টি শক্তিকে হেফাজত কর। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই ( আবু দাউদ)। পাপ করার জন্য আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো অনেকাংশে দায়ী। তাই আমরা প্রতিদিন বলব, “ হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আমার কানের অপকারিতা , আমার চোখের অপকারিতা , আমার জিহবার অপকারিতা, আমার মনের অপকারিতা ও বীর্যের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই।”
আমরা কেউ কেউ এ বলে দোয়া করি অল্লাহ তুমি যদি চাও তাহলে আমি এ কাজ করব। এভাবে দোয়া করা নিষেধ। আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে দোয়া কাতে হবে। রাসুল (সাঃ) বলেন, “ তোমাদের মধ্যে কেউ যেন না বলে, হে আল্লাহ ! যদি তুমি চাও তাহলে আমাকে দয়া করো। ” বরং দৃঢ়তার সাথে নিশ্চিন্ত মনে দোয়া করা উচিত। দোয়ার ফল তাড়াতাড়ি দেখতে চাওয়া অথবা আল্লাহর প্রতি নিরাশ হওয়া উচিত নয়। কত দোয়া করলাম ,তারপরও পরীক্ষার ফলাফল ভাল হলো না। অথবা চাকুরি জন্য বিদেশ যেতে পারলাম না। এভাবে বলা উচিত নয়। আল্লাহর কাছে যা বলার সরাসরি বলতে হবে। কষ্ট-কল্পনার সাথে ছন্দ বানিয়ে দোয়া করা যাবে না। বোখারি শরিফে বর্ণিত হয়েছে-ছন্দযুক্ত দোয়া থেকে দূরে থাক। যেহেতু আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও তার সাহাবাগণের নিকট উপলব্দি করি যে তারা এটাই করতেন। অর্থাৎ ছন্দযুক্ত দোয়া উপেক্ষা করতেন। বান্দার কোন দোয়াই বিফলে যায় না। তবে তার ফল ৩ প্রকারে দেয়া হয়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, কোন মুসলমান যখন দোয়া করে যাতে পাপ ও জ্ঞাতিবন্দন ছিন্নতা নেই তখন আল্লাহ তাকে তিনটের একটা দান করেন। এক, তাড়াতাড়ি তার দোয়া কবুল করেন। দুই, পরকালের জন্য তা জমা রাখেন। অথবা অনুরূপ অকল্যাণকে দূর করেন। (হাকেম১/৪৯৩) আমরা আমাদের খেয়াল-খুশিমত চলার কারণে পাপে নিমজ্জিত হই। তাই এব্যাপারটিও আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে হবে। “ মূলত পেট পুজার কারণে অঅমরা পাপের পথে পরিচালিত হই। আরামদায়ক ও সুস্বাদু খাবার পেলে আমাদের অনেকেরই হালাল-হারামের কথা মনে থাকে না। মিকদ্বাম ইবনে মাদী কারাব (রাঃ )থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন- মানুষ যে সব পাত্র-ভর্তি করে তার মধ্যে সবচেয়ে মন্দ পাত্র হচ্ছে ( মানুষের) পেট ( তিরমিজি)। হিংসা পাপের একটি অন্যতম কারণ। হিংসা সৎকাজগুলোকে এমনভাবে খেয়ে ফেলে যেমনভাবে আগুন কাঠ ও খড় ধ্বংস করে ফেলে। ক্রোধের মাধ্যমে মানুষ পাপ করে। কাউকে অনর্থক শাস্তি দেয়ার মধ্যে বাহাদুরী প্রমাণিত হয় না। যে ব্যক্তি নিজেকে ক্রোধ থেকে সংযত রাখতে পারে সেই প্রকৃত বাহাদুর। জুলুম করা থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। এটি হতে পারে নিজের উপর জুলুম, হতে পারে অন্য কারও উপর জুলুম। এজন্য আল্লাহকে বলব, “ হে আল্লাহ ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দারিদ্র অভাব অনটন ও লাঞ্ছনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি, যাতে আমি অত্যাচার না করি ও অত্যাচরিত না হই। কেউ ঋণের মধ্যে পড়লে সে পাপে নিমজ্জিত হতে পারে। তাই ঋণ থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। রাসুল (সাঃ) এ দোয়া করতেন, “ হে আল্লাহ ! আমি তোমার নিকটে ঋণের যন্ত্রণা থেকে, শত্রæর বিজয় লাভ থেকেও শত্রæর নিকটে হাস্যষ্পদ হওয়া থেকে অশ্রয় প্রার্থনা করছি ( নাসায়ী ৫৪৭)। আমরা সাধারণত বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে অশ্রয় প্রার্থনা করি। অন্য কোন উপায় না থাকলে বলি একমাত্র অঅল্লাহ তায়লাই আমার ভরসা। এভাবে শুধুমাত্র দুঃখ দুর্দশায় পতিত হয়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া উচিত নয়।তাই সবসময় সুখে-দঃখে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া উচিত। দোয়া যেমন ইবাদত তেমনি না জেনে দোয়া করলে পাপ হতে পারে। তাই দোয়ার শেষে আমরা বলব “ প্রভূ’ হে! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে চাওয়া থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না করো তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।” (সুরা হুদ ৪৭) লেখকঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক ,সাংবাদিক ও ধর্মীয় গবেষক,
No comments