ওহির অলোকে ঃ আরশের ছায়া
ওহির অলোকে ঃ আরশের ছায়া
পবিত্র
কুরআনে আল্লাহ বলেন, তিনি
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি
করেছেন ৬দিনে। অতঃপর
আরশের উপর তিনি
সমাসিন হয়েছেন। ( আর
হাদিদ -৬)
মহানবি
(সাঃ) বলেন, কুরসির তুলনায়
সাত আসমান হলো ময়দানে
পড়ে থাকা একটি বালার
মতো। আর
আরশের তুলনায় কুরসি হলো
ঐরূপ বালার মতো।
( সিলসিলাহ সহীহাহ -১০৯)
মুহাম্মদ
ইবনে আবু গালিব (র)
....আবু হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে
শুনেছি আল্লাহ তায়ালা সমস্ত
সৃষ্টিকে সৃষ্টি করার পূর্বে
একটি লেখা লিপিবদ্ধ করে
রেখেছেন। তা
হলো “ আমার ক্রোধের উপর
আমার রহমত আগ্রগামী হয়েছে”।
এটি তারই নিকটে আরশের
উপর লিপিবদ্ধ আছে।( বুখারি)
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
, নবী (সাঃ) বলেছেন, সাত
শ্রেণির লোক আল্লাহর আরশের
ছায়ায় স্থান পাবে।
তারা হচ্ছে-১. ন্যায়পরায়ন
শাসক ২. যে যুবক
আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মশগুল।
৩. যে ব্যক্তির অন্তর
মসজিদেন সাথে যুক্ত থাকে। ৪.
যে দুই ব্যক্তি আল্লাহর
জন্য পরস্পরকে ভালবাসে। ঐ
লোক যাকে অভিজাত বংশীয়
কোন সুন্দরী রমনী আহবান করে
(খারাপ কাজের জন্য ) কিন্তু
সে বলে, আল্লাহকে ভয়
করি ৬. ঐ লোক
যে গোপনে দান করে
, এমনকি তার ডান কি
দান করেছে তা বাম
হাত জানেনা এবং যে
লোক একাকী আল্লাহর ভয়ে
অশ্রু ঝড়ায়। (বোখারি)
আল্লাহর
রাসুল (সাঃ) বলেন, হাশরেরর
মাঠে সমস্ত লোকদের বিচার
শেষ না হওয়া পর্যন্ত
প্রত্যকে মানুষ নিজ নিজ
ছাদকার ছায়াতলে অবস্থান করবে। (আহমদ)
রাসুল
(সাঃ) বলেন, আকাশ ও
পৃথিবীর মাঝে কতটুকু দূরত্ব
তা কি জান? তিনি বল্লেন- এ
দু এর মাঝে দূরত্ব
হল একাত্তর, বাহাত্তর, বা তিয়াত্তর বছরের
পথ এর উপরে আসমানের
দূরত্ব অনুরূপ । এভাবে
তিনি সাত আসমানের উল্লেখ
করলেন। পরে
বল্লেনঃ সপ্তম আকাশের উপর
আছে সাগর। এর
ওপরও নীচের দূরত্ব হলো
আসমান ও যমীনের দূরত্বের
অনুরূপ। এর
উপর হলো আটটি মেষ (আকৃতির ফিরিস্তা)। এগুলোর
খুর থেকে নিয়ে হাঁটু
পর্যন্ত হল আকাশ থেকে
আরেক আকাশের দূরত্বের সমান। এগুলোর
পীঠের উপর হলো আরশ। এর
নিচ থেকে উপরের ব্যবধান
হলো দুই আকাশের মাঝের
ব্যবধানের অনুরূপ। এর
উর্ধ্বে হলেন আল্লাহ রাব্বুল
ইজ্জত। ( তিরমিঝি-হাদিসটি গারিব)।
ইয়াহইয়া ইবনে সালিহ (রহঃ)
....আবু হুরায়রা ( রাঃ) থেকে বর্ণিত
তিনি বলেন, নবি (সাঃ)
বলেছেন, আল্লাহ ও তার
রাসূলের প্রতি যে ঈমান
আনল, সালাত আদায় করল
ও রমযানের সিয়াম পালন করল
সে আল্লাহর পথে জিহাদ করুক
কিংবা স্বীয় জন্মভূমিতে বসে
থাকুক তাকে জান্নাতে প্রবেশ
করিয়ে দেওয়া আল্লাহর দায়িত্ব
হয়ে যায়। হাদিসে
অরো বলা হয়েছে জান্নতের
১০০টি স্তর রয়েছে আর
তার উপর রয়েছে আল্লাহর
আরশ।
। সেখানে শুধুমাত্র আরশের
ছা’য়া থাকবে।
হাশরের ময়দানে পাপীরা প্রচন্ড তাপের কারণে ঘামতে
থাকবে। এ
ঘাম সকলের জন্য সমান
হবে না। পাপের
মাত্র অনুযায়ী এর পার্থক্য হবে। কারো
পায়ের ঘাট পর্যন্ত, কারো
হাঁটু পর্যন্ত , আবার কারো বা
নাক পর্যন্ত ঘামে ডুবে যাবে। ( বোখারি
ও মুসলিম)
মহানবী
(সাঃ ) বলেন, নবীদের মধ্যে
একে অপরের উপর প্রাধান্য
দিয়ো না। কেয়ামতের
দিন সবাই মুর্ছিত হওয়ার
পর আমি সকলের আগে
কবর থেকে উঠে দেখব
মুসা (আঃ) আরশের একটা
পায়া ( প্রান্ত) ধরে আছেন ( বুখারি)।
মমিনুল
ইসলাম মোল্লা
No comments