রোজার প্রশিক্ষণ যেন ভুলে না যাই
রোজার প্রশিক্ষণ যেন ভুলে না যাই
মমিনুল ইসলাম মোল্লারোজার মাধ্যমে মুসলমানরা সত্যের সাক্ষ দান করে। রোজার মাধ্যমে মুসলমানদের দৃঢ় ইচ্ছার ও মজবুত সংকল্পের প্রকাশ ঘটে। এর দ্বারা রবের সাথে বান্দার আনুগত্যের বন্ধন স্থাপতি হয়। আল্লাহর দেয়া বিধানের মধ্যে জীবন যাপন করারর অভ্যাস গড়ে উঠে। এ অভ্যাস অনুযায়ী বাকি দিনগুলো ইবাদত করলে যে কোন মুসলমান অঅল্লাহর নৈকট্য লাভে সক্ষম হবে। রোজার বিশেষ উদ্দেশ্য হচ্ছে খলিফা হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের দায়িত্ব পালন ও পরকালীন জিন্দেগীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা। রোজার মহান উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। এসময় তাকওয়া বা আল্লাহভীতি হৃদয়ে জাগ্রত হওয়ার কারণে বান্দা কঠিন ফরজগুলো পালনে প্রস্তুত তাকে। এত আল্লাহর প্রতি বান্দার আনুগত্য প্রকাশ পায়এবং সে সকল প্রকার ত্যাগ স্বীকারে রাজী থাকে। রমজান মাসে আমরা সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করি। কারণ পাপ কাজে লিপ্ত থাকলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। এসময় তাকওয়া রোজাদারের অন্তরের মধ্যে উদিত সকল কুধারণাগুলোকে দূর করে।
মানুষের মধ্যে ইবাদতের চেতনা সবসময় একরকম থাকে না। আমরা যখন কোন দ্বিনী মজলিশে বসি তাহলে তখন আমরা সংকল্প করি জীবনে আর কখনও জামাতে নামাজ ছাড়ব না।, কোন সময় মিথ্যা কথা বলাবনা, কারও সাথে প্রতারণা করবনা। কিন্তু মজলিশ থেকে উঠে যাওয়ার পরই তা আবার আমরা বেমালুম ভুলে যাই। ঠিক তেমনিভাবে রমজান মাসে আমাদের ইবাদতের চেতনা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরবর্তীতে তা অঅমরা ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি না। এবাদতের প্রথম উদ্দেশ্য হলো গোলাম ও মুনিবের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা। এবাদত বলতে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক কাজ বুঝায় না। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। রোজার সময় মানুষের মনে অপরাধপ্রবণতা কম কাজ করে। রোজার মাসে আল্লাহর ভয়ে সে মানুষের হক নষ্ট করে না। তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোও মন্দ কাজে প্রবৃত্ত হয় না। আল্লাহর হেদায়েত বা পথ প্রদর্শরনকে সে গভীরভাবে অনুভব করে। কিন্তু পরবর্তীতে তা আবার ভুলে যায়। ফলে সে সম্পূর্ণ হেদায়েত লাভ করতে পারে না। কষ্ট হলেও আমরা রমজানে জামাতে নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। যারা সাধারণত সারা বছর মসজিদে যান না তারাও অন্তত শুক্রবারে হলেও জামাতে হাজির থাকেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য রমজান শেষ হয়ে গলে মসজিদগুলো ধীরে ধীরে খালি হতে থাকে। ফজরের নামাজে মুসল্লীদেও সংখ্যা কোন কোন মসজিদে এক কাতারে চলে আসে। অথচ ঐ একই মসজিদে রমজান মাসে লোক যায়গা হতো না। মহান আলআহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরঅনে সুরা বাকারায় ( ১৪৩নং আয়াত) উল্লেখ করেন, আর তোমরা নামাজ কায়েম করো ও যাকাত আদায় করো, আর রুকুকারীদের সাথে রুকু করো।
দানশীলতা একটি বড় গুণ। রমজানে আমরা উদার মনে দান করি। ফরয যাকাত বাদেও দান সাদকা করে থাকি। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন, নিসন্দেহে দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী আর যারা আল্লা কে উত্তম ঋণ দান করে ---তাদের জন্য তা বহু গূণিত করা হবে আর তাদের জন্য রয়েছে সম্মানিত পুরস্কার। ( আল হাদিদ- ১৮)রমজানে অনেকেই সম্পূর্ণ কোরান খতম করেন। এছাড়া কেউ কেউ আংশিক খতম হলেও করেন। যারা শুদ্ধভাবে পড়তে পারেন না তারাও শেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু রমজান শেষ হয়ে গেলে কুরআন শরিফে ধুলা- ময়লা পড়ে থাকলেও তা খুলে দেখার চেষ্ট করেন না। কুরান পড়ার ব্যপারে আল্লাহ বলেন, নামাজ কায়েম করো, সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে নিয়ে রাতের অšধকার পর্যন্ত এবং ফজরে কুরান পড়ার ব্যবস্থা কর। ” ( সুরা আল ইশরা-৭৮) আমরা যেন নিয়মিত কুরান পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি সেদিকে মনোনিবেশ করতে হবে। রমজানে আমরা বেশি বেশি তাসবিহ জপেছি। এ অভ্যাস যেন অঅমাদের পরেও থাকে। আল্লঅহ বলেন, কাজেই আল্লঅহর তাসবীহ করো, যখন তোমাদের সন্ধা হয় ( মাগরিব) এবং যখন সকাল হয়( ফজর)। রোজার মাধ্যমে মানুষ ষড়রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। সে সুদ, ঘুষ , দুর্নীতি, ও অপরের হক নষ্ট করতে চায়নি। কিন্তু রোজার পর যদি সে এগুলো আবার করে তাহলে বুঝা যাবে রোজার প্রশিক্ষণ সে সঠিকভাবে গ্রহণ করেনি। যে ব্যক্তি রমজানে তাকওয়া অর্জন করতে পারলোনা সে হতভাগা। কেননা ঈমান ও আকিদা ঠিক রেখে দৃঢ় মনোবল , ত্যাগ, তিক্ষিা ও সহিষ্ঞুতার শিক্ষা লাভ করার জন্য রোজা এক বিশেষ প্রশিক্ষণ। এ প্রশিক্ষণ অনুযায়ী সারা জীবন অঅমল করলে একজন মুসলমান স্বার্থক জীবন গঠন করতে পারে। লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক , সাংবাদিক ও ধর্মীয় গবেষক, কুমিল্লা।০১৭১১৭১৩২৫৭ সধসরহসড়ষষধয@ুধযড়ড়.পড়স
ওহির অলোকেঃ রোজার প্রশিক্ষণ
মহান আলআহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরঅনে সুরা বাকারায় ( ১৪৩নং আয়াত) উল্লেখ করেন, আর তোমরা নামাজ কায়েম করো ও যাকাত আদায় করো, আর রুকুকারীদের সাথে রুকু করো।
কুরান পড়ার ব্যপারে আল্লাহ বলেন, নামাজ কায়েম করো, সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে নিয়ে রাতের অšধকার পর্যন্ত এবং ফজরে কুরান পড়ার ব্যবস্থা কর। ” ( সুরা আল ইশরা-৭৮)
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন, নিসন্দেহে দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী আর যারা আল্লা কে উত্তম ঋণ দান করে ---তাদের জন্য তা বহু গূণিত করা হবে আর তাদের জন্য রয়েছে সম্মানিত পুরস্কার। ( আল হাদিদ- ১৮)
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
No comments