ইমাম মাহদীর আগমন ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা কিয়ামতের আগে দুনিয়াতে বেশ কিছু ফেৎনার উদ্ভব ঘটবে। এসময় অন্যায়-অত্যাচার মানুষের স্বভাবে পরিণত হবে। সমাজের অনিষ্ট সাধনকারী ব্যক্তিদের হাতে কর্তত্ব চলে আসবে। এসময় মুমিনগণ নতুন প্রভাতের আশায় থাকবেন। মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ ( ইমাম মাহদীর) মাধ্যমে আল্লাহ পাক মুসলমানদের আবার একত্রিত করবেন। ইমাম মাহদীর সহযোগীতায় তারা আবার অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জয়ী হবে। ইমাম মাহদীর আগমন কেয়ামতের বড় আলামতগুলোর মধ্যে প্রথম । (ইবনে মাসউদ রাঃ) থেকে বর্ণিত , নবি করিম (সাঃ) বলেন, “ পৃথিবীর জীবনসায়াহ্নে যদি একটি মাত্র দিন অবশিষ্ট থাকে, তবে সেই দিনটিকে আল্লাহ দীর্ঘ করে আমার পরিবারস্থ একজন ব্যক্তিকে প্রেরণ করে ছাড়বেন। তার নাম আমার নাম এবং তার পিতার নাম একই রকম হবে। (তিরমিজি, আবু দাউদ) মাহদী হবেন নবি করিম (সাঃ) এর বংশধর। এক রাত্রিতে আল্লাহপাক তাকে নেতৃত্বের যোগ্য বানিয়ে দেবেন। অর্থাৎ তিনি আগে থেকে তা জানতে পাবেন না। ইমাম অন্য হাদিছে বলা হয়েছে তিনি হবেন ফাতেমা (রাঃ) এর সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত হবে। মাহদীর গায়ের র্ঙ উজ্জল , নাক হবে দীর্ঘ এর সামনের অংশ কিছুটা সরু এবং মধ্যমভাগ কিছুটা ফোলা তবে একবা েচেপ্টা হবে না। অবিচার যখন স্বভাবে পরিণত হবে, ন্যায় নিষ্ঠা সমাজ থেকে উঠে যাবে, মুসলিম সমাজ বেহায়াপনা ও অশ্লীলতায় ছেয়ে যাবে তখন আল্লাহ ইসলাম ধর্ম পুনরুদ্ধারের ব্যস্থা করবেন। উম্মতে মোহাম্মদীর কাছে তিনি ইমাম মাহদী নামে পরিচিতি পাবেন। আবু সাঈদ খুদুরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবি করিম (সাঃ) বলেন, আমি তোমাদেরকে মাহদীর সুসংবাদ দিচ্ছি। ভূকম্পন ও মানুষের বিভেদকালে তার আগমন ঘটবে। ন্যায়- নিষ্ঠায় পৃথিবী ভরে দেবে ঠিক যেমন অন্যায়-অবিচারে ভরে গিয়েছিল।

ইমাম মাহদীর আগমন ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষাকিয়ামতের  আগে দুনিয়াতে বেশ কিছু ফেৎনার উদ্ভব ঘটবে। এসময় অন্যায়-অত্যাচার মানুষের স্বভাবে পরিণত হবে। সমাজের অনিষ্ট  সাধনকারী ব্যক্তিদের হাতে কর্তত্ব চলে আসবে। এসময় মুমিনগণ নতুন প্রভাতের আশায় থাকবেন। মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ ( ইমাম মাহদীর) মাধ্যমে আল্লাহ পাক মুসলমানদের আবার একত্রিত করবেন। ইমাম মাহদীর সহযোগীতায় তারা আবার অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জয়ী হবে। ইমাম মাহদীর আগমন কেয়ামতের বড় আলামতগুলোর মধ্যে প্রথম । (ইবনে মাসউদ রাঃ) থেকে বর্ণিত , নবি করিম (সাঃ) বলেন, “ পৃথিবীর জীবনসায়াহ্নে যদি একটি মাত্র  দিন অবশিষ্ট থাকে, তবে সেই দিনটিকে আল্লাহ দীর্ঘ করে আমার পরিবারস্থ একজন ব্যক্তিকে প্রেরণ করে  ছাড়বেন। তার নাম আমার নাম এবং তার পিতার নাম একই রকম হবে। (তিরমিজি, আবু দাউদ) মাহদী হবেন নবি করিম (সাঃ) এর বংশধর। এক রাত্রিতে আল্লাহপাক তাকে নেতৃত্বের  যোগ্য বানিয়ে দেবেন। অর্থাৎ তিনি আগে থেকে তা জানতে পাবেন না। ইমাম অন্য হাদিছে বলা হয়েছে তিনি হবেন ফাতেমা (রাঃ) এর সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত হবে। মাহদীর গায়ের র্ঙ উজ্জল , নাক হবে দীর্ঘ এর সামনের অংশ কিছুটা সরু এবং মধ্যমভাগ কিছুটা ফোলা তবে একবা েচেপ্টা হবে না। অবিচার যখন স্বভাবে পরিণত হবে, ন্যায় নিষ্ঠা সমাজ থেকে উঠে যাবে, মুসলিম সমাজ বেহায়াপনা ও অশ্লীলতায় ছেয়ে যাবে তখন আল্লাহ ইসলাম ধর্ম পুনরুদ্ধারের ব্যস্থা করবেন। উম্মতে মোহাম্মদীর কাছে তিনি ইমাম মাহদী নামে পরিচিতি পাবেন। আবু সাঈদ খুদুরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবি করিম (সাঃ) বলেন, আমি তোমাদেরকে মাহদীর সুসংবাদ দিচ্ছি। ভূকম্পন ও মানুষের বিভেদকালে তার আগমন ঘটবে। ন্যায়- নিষ্ঠায় পৃথিবী ভরে দেবে ঠিক যেমন অন্যায়-অবিচারে ভরে গিয়েছিল।



ইমাম মাহদী যে রাসুল (সঃ) এর বংশধর হবেন এ ব্যাপারে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তাই অন্য কোন যায়গা থেকে কেউ যদি মাহদী দাবী করেন তাহলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,  তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন. ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা যতক্ষণ না আরবদের বাদশা  আমার বংশের এক ব্যক্তি হবে। আর তার নাম ও আমার নামের অনুরূপ হবে (তিরমিজি) । ইবনে কাছির (রাঃ) বলেন, মাহদীকে প্রাচ্যের নিষ্ঠাবান একটি দলের মাধ্যমে শক্তিশালী করা হবে। তারা মাহদীকে সহায়তা করবে এবং মাহদীর রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। তাদের পতাকা হবে কাল বর্ণের। নবী করিম (সাঃ) এর পতাকাও ছিল কালো। এর নাম ছিল উকাব। ইমাম মাহদীর মাধ্যমে সম্পদের সুষম বন্টন হবে। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন ন্যায়ের মাধ্যমে উম্মতে মোহাম্মদীকে পূর্ণ করে দিবেন। এমনকি একজন ঘোষণা করবে-কারো কি সম্পদের প্রয়োজন আছে ? একজন তার প্রয়োজনের কথা বল্লে দায়িত্বশীল বলবে- উঠাও যা পার। আচল ভরে স্বর্ণ -রৌপ্য উঠাতে চাইলে লজ্জিত হয়ে বলবে- আমি নিজেকে সবার চেয়ে শক্তিশালী মনে করতাম কিন্তু আজ এগুলো বহন করতে অপারগ হয়ে গেছি। ” ইমাম মাহদীর আগমনের পর তিনি নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠায় মনহযোগী হবেন। অন্যায় অবিচারের পরিবর্তে আবার ধমর্ীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। মুসলিম বিশ্ব সুখ-স্বাচ্ছন্দ ভরে উঠবে। সকল খনিজ সম্পদ প্রকাশ পাবে। আকাশ থেকে ফসলের উপযোগী বৃষ্টি বর্ষণ হবে।
ত্ববরানী থেকে জানা যায়, ক্ষমতাশীল খলিফার মৃত্যুর পর খলিফা নির্বাচনে লোকদের মধ্যে মতভেদ শুরু হবে। এমতাবস্থায় ইমাম মাহদীর আগমন ঘটবে লোকের হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইব্রাহিমের মাঝে তার কাছে বায়াত হবে। সিরিয়া থেকে একদল সৈন্য মক্কা আক্রমনের জন্য আসবে। এরপর ইরাক ও সিরিয়া থেকে বড় বড় ওলামাগন ইমাম মাহদীর হাতে বাইয়াত গ্রহণের জন্য আসতে থাকবে। মুসলিম শরিফে বর্ণিত হয়েছে আয়শা (রাঃ) বলেন- একদা রাসুল (সাঃ) ঘুমের ঘোরে এলোমেলো কিছু কাজ করলেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, জাগ্রত হলে আমরা তাকে বল্লাম, ঘুমের মধ্যে আজ এমন কিছু কাজ করেছেন যা অতীতে কখনও করেন নি। তিনি বলেন আমার উম্মতের একদল লোক কাবার পাশে অংশগ্রহণকারী কুরাইশ বংশের একজন লোকের বিরদ্ধে যুদ্ধ করার উদ্ধেশ্যে রওয়ানা হবে। তারা বারদা নামক স্থানে পৌঁছবে তখন তাদেরকে নিয়ে জমিন ধসে যাবে। তখন রাস্তায় নানা ধরণের লোক থাকবে। নবি করিম (সাঃ) বলেন, তাদের ভিতর এমন লোক থাকবে যারা নিজেদেরকে গোমরাহ জেনেও বের হবে। কাউকে বল প্রয়োগ করে আনা হবে এবং তাদের মধ্যে মুসাফিরও থাকবে। তারা সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে সকলকেই আল্লাহর নিয়তের উপর পুনরুত্থিত করবেন। হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, কাবায় এমন কিছু লোক অশ্রয় গ্রহণ করবে যাদের হাতে শত্রু মোকাবেলা করার মত কোন কিছু থাকবে না। তাদের সংখ্যাও কম হবে। আর তাদের হাতিয়ার ও থাকবে কম। একটি সেনাদল তাদের উপর আক্রমন করার জন্য বাইদা নামক স্থানে পেঁৗছলে সেখানে তাদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে ( মুসলিম)। আবু দাউদ শরিফের হাদিস অনুযায়ী ইমাম মাহদী ৭ বছর রাজত্ব করবেন। কোন কোন হাদিসে ৮ অথবা ৯ বছরের কথাও বলা হয়েছ। কেয়ামতের আগে নির্দিষ্ট সময়ে ঈসা (আঃ) আবার পৃথিবীতে অবতরণ করবেন। বুখারি শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবি করিম সাঃ বলেন- “ কেমন হবে যখন তোমাদের মাঝে মরিয়ম তনয়া ঈসা অবতরণ করে তোমাদেরই একজনের পেছনে ফজরের নামাজ আদায় করবেন। সহি হাদিছ অনুযায়ী জানা যায়- ঈমাম মাহদীর সময় মুসলমানদের ইমাম ও শক্তি ধ্বংস করার জন্য দাজ্জালের আগমন ঘটবে। দাজ্জালের মোকাবেলা করার জন্য আল্লাহপাক ইসা (আঃ ) কে পাঠাবেন। ইমাম মাহদী ও ইসা (আঃ) একত্রে মুসলমানদেরকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্ত করবেন।
লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের  প্রভাষক , সাংবাদিক ও ধমর্ীয় গবেষক, কুমিল্লা।

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.