সন্তান গড়ুন ইসলামী আদর্শে

 সন্তান গড়ুন ইসলামী আদর্শে

মমিনুল ইসলাম মোল্লা:


আজকের সমাজের নৈতিক অবক্ষয়, মাদকতা, বেহায়াপনা এবং পারিবারিক অশান্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে ইসলামী শিক্ষা ও নৈতিকতার অভাবকেই চিহ্নিত করছেন ইসলামী চিন্তাবিদরা।


মূল প্রতিবেদন:

জুমআর খুতবায় প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, “তুমি তোমার পরিবারকে ছালাতের আদেশ দাও এবং তুমি নিজেও তাতে অবিচল থাক” (সূরা ত্বোহা: ১৩২)। এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিয়েছেন—পরিবারই মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার মূল কেন্দ্র। পিতা-মাতা যদি নিজেরা দ্বীন মানে না, তবে সন্তানের কাছে তাদের উপদেশ মূল্যহীন হয়ে পড়ে।


তিনি হাদীসের আলোকে বলেন, “তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে ছালাতের নির্দেশ দাও এবং দশ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন কর” (আবু দাউদ)। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় সন্তানেরা অল্প বয়সেই মাদক, সন্ত্রাস ও বেহায়াপনায় জড়িয়ে পড়ছে।


বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, খ্যাতনামা স্কুলের শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পেলেও মানবিক মূল্যবোধে শূন্য। কোরআন-হাদীসের আলোকে নৈতিক শিক্ষা সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত না করলে এ অবস্থা থেকে মুক্তি সম্ভব নয়।


তিনি মদ্যপান, তামাক চাষ ও বেহায়াপনার প্রসার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “তিন ধরনের ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না—মদ্যপায়ী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান এবং দাইয়ূছ” (নাসায়ী)। তাই পরিবারের প্রধানদের দ্বীনদার হতে হবে এবং সন্তানদের আল্লাহভীতির সাথে বড় করে তুলতে হবে।


পরিশেষে তিনি আহ্বান জানান—শিশুকাল থেকেই সন্তানকে আল্লাহর একত্ববাদ, ছালাত, জান্নাত-জাহান্নামের বাস্তবতা এবং নৈতিক আদর্শ শিখাতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা কর” (সূরা তাহরীম: ৬)। আগামী প্রজন্মকে ইসলামী আদর্শে গড়ে তুললেই পরিবারে শান্তি ও সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।


মমিনুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ধর্মীয় লেখক, কুমিল্লা।।

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.