নির্বাচিত চেয়ারম্যানরাই উন্নয়ন করতে পারে

 

নির্বাচিত চেয়ারম্যানরাই উন্নয়ন করতে পারে
মমিনুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক, কলামস্টি ও সাহিত্যিক,কুমিল্লা ।।

নগরীয় বাংলাদেশে অবস্থিত ৩১৫টি নগরের নির্বাচন ইতোপূর্বে সম্পন্ন হয়ে যাবার কারণে এখন কেবল গ্রামীণ বাংলাদেশে অবস্থিত ইউনিয়নগুলোতে প্রবল নির্বাচনী হাওয়া বইছে। এ অবস্থা চলবে ৫ জুলাই পর্যšত। কোন জায়গায় সমস্যা হলে হয়তো আরও কিছুদিন এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলবে। তারপর পাঁচ বছরের জন্য ইউনিয়নকেন্দ্রিক নির্বাচনের সকল আয়োজন শেষ হবে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে। এ নির্বাচন আইনানুযায়ী অরাজনৈতিক নির্বাচন হলেও বাস্তবে এটি রাজনৈতিক দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কোন প্রার্থী তার পোস্টারে বা ব্যানারে কোন দলের নাম ব্যবহার করতে পারবেনা। কোন রাজনৈতিক দল প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবেনা। কোন মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান অথবা কোনও সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবেনা। এসব আচরণবিধি সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা, এব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কতটুকু তৎপর সেসব বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।
নিয়মানুযায়ী যিনি যে ওয়ার্ড বা ইউনিয়নের বাসিন্দা তিনি সে এলাকা থেকে নির্বাচন করতে পারেন। এটি তার আইনগত অধিকার। এ অধিকার  থেকে কেউ তাকে বিরত রাখতে পারেনা। কিন্তু রাজনৈতিক দলীয় প্রভাবের কারণে কোন কোন জায়গায় কোন কোন প্রার্থীকে প্রার্থী হতে বাধা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানগণ বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের নিজের লোকদের প্রার্থী করেছেন।  তাদের ইচ্ছের বাইরে প্রার্থী হতে গিয়ে অনেকে হামলার শিকার হয়েছেন। দলীয় সিদ্ধাšত না মানায় কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এধরনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে গেলেও কমিশন তাতে সায় দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সবার পক্ষে কমিশনে গিয়ে অভিযোগ করা সম্ভব হয়না। এসব প্রার্থী নীরবে নেতানেত্রীদের কথা মেনে নিয়ে জনসেবার বাসনা ত্যাগ করেন। ক্ষমতাসীন দল বাদেও অন্যান্য দলও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছে। কেননা রাজনৈতিক দলগুলো তাদের তৎপরতা তৃণমূল পর্যšত পৌঁছাতে চায়। এবারের ইউপি নির্বাচন নানান কারণে বড় দ’ুদলের নিকট বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতীয়মান। রাজনৈতিক দল বাদে গ্রামীণ অন্য নেতৃবৃন্দও ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে। এজন্য বিভিন্ন গ্রামে ছায়া নির্বাচনের ব্যবস্থা করার খবর পাওয়া গেছে। এ পদ্ধতিতে নির্বাচনের পূর্বে ঐ এলাকার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ছায়া নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়। উক্ত এলাকার পুরুষ ভোটারগণ এতে ভোট দেয়ার সুযোগ পায়। যিনি নির্বাচনে পাশ করেন তাকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার সুযোগ দেয়া হয়। অন্যদেরকে প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করা থেকে বিরত রাখা হয়। নির্বাচন কমিশন এধরনের নির্বাচনকে উদ্ভট হিসেবে আখ্যা দিলেও এই অবৈধ নির্বাচন বন্ধ করতে পারেনি। কুমিল্লার মুরাদনগরের কাশিমপুর ও বিবাড়িয়ার নবীনগরের জিন্নতপুর ইউনিয়নে এ ধরনের নির্বাচনের ব্যবস্থা করে কয়েকজন প্রার্থীকে নাগরিক অধিকার থেকে ব‎িঞ্চত করা হয়।
এছাড়া সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের একটি সিদ্ধাšত বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উপকুলীয় এলাকায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে জয় লাভও করেন। নির্বাচনের পর হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয় এমপিওভূক্ত  শিক্ষকগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। যারা ইতিমধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের পদও বাতিল হয়ে যাবে। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাঁরা চাকুরি থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে পারবে।  এঅবস্থায় কেউ কেউ পদত্যাগ করেন। এব্যাপারে হাইকোর্টে রিট করলে শিক্ষকদের পক্ষে রায় আসে। কিন্তু এরই মধ্যে অনেক ইউনিয়নে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল করার সুযোগ চলে যায়। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষক প্রার্থী হবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন।
নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি পরিচিত শ্লোগান হচ্ছে ”আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।” আমাদের দেশে এক সময় ভোটারদের ভোট দেয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। তখন অধিকাংশ ভোটারই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখতেন তার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। এমনকি মৃত মানুষের ভোটও দিয়ে দেয়া হতো। এসময়কার একটি কৌতুক ছিল এরকম-কিছুদিন পূর্বে দাদা মারা গেছেন এমন এক নাতি ভোট দিতে গেছে। গিয়ে দেখেন তার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। তখন সে জিজ্ঞেস করে আমার দাদা আক্কাস মোল্লারটাও কি দেয়া হয়ে গেছে? নির্বাচনী কর্মকর্তাগণ জানান সেটিও দেয়া হয়ে গেছে। তখন নাতি বাড়ি গিয়ে দাদিকে বলে ”দাদি অমরা কি দাদার কোন খেদমত করি নাই। উনি কবর থেকে উঠে এসে ভোটটা দিয়ে যেতে পারলেন অথচ তোমার সাথে একটু দেখা করে গেলেননা?”এজন্য নিজের ভোট নিজে দেয়ার অধিকারের জন্য তখন এ শ্লোগান দেয়া হতো। এবছর প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচন মোটামুটি শাšিতপূর্ণভাবে, ভালভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই আপনার ভোট আপনিই দিতে পারবেন এটা আশা করা যায়। তাই বলে যাকে খুশি তাকেই ভোট দিবেন এটা হতে পারেনা। কারণ ভোট কোন খেলনা বস্তু নয়। ভোট পবিত্র আমানত। এ আমানতের যথাযথ ব্যবহার না করলে এর জন্য আপনাকে খেসারত দিতে হবে। বাংলাদেশের বৃহদাংশ মানুষ মুসলমান। তারা পবিত্র কুরআনে বিশ্বাসী। এ ব্যাপারে কুরআন শরীফের সমর্থন রয়েছে। তাই ভোটদানের ব্যপারে হেলা করা যাবেনা। পবিত্র কুরআন শরীফে বলা হয়েছে-হে মুমিনগণ, আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় আমানত উপযুক্ত ব্যক্তিদের হাতে অর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন (সুরা নিসা-৫৮)। অন্য  জায়গায়  বলা হয়েছে -হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী হয়ে উঠো, ---তা যদি তোমাদের নিজেদের-তোমাদের পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনদের বিরূদ্ধে যায় তবুও। কিন্তু মুসলমান হয়েও অনেকেই ভোটের সময় কুরআনের শিক্ষা ভুলে যায়। কোন আত্মীয়-স্বজন যদি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করে তাহলে তার পক্ষে সাফাই গায়। কোন পরোক্ষ আত্মীয় হলেও তার রেশ ধরে সবাই যেন আত্মীয় হয়ে যায়। আত্মীয় প্রার্থীটি যদি অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় কম যোগ্যতা সম্পন্নও হয় তাহলেও কি তাকে ভোট দিতে হবে? তার পক্ষে ভোট চাইতে হবে? এভাবে পক্ষপাতদূষ্ট হওয়ার কোন যুক্তি নেই। এক্ষেত্রে যিনি অধিক যোগ্য তিনিই ভোট পাবার যোগ্য। 
আপনি যে গ্রামের অধিবাসী সেটি হয়তো ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রাম। এ গ্রামের লোকেরা যেকোন একজন প্রার্থীকে ভোট দিলে সে অনায়াসেই পাশ করতে পারে। এ অবস্থায় অপনার গ্রাম থেকে একজন প্রার্থী দাঁড়িয়েছে, যার স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে আপনি ভালভাবেই জানেন। ্অন্য প্রার্থীর তুলনায় তিনি কোনক্রমেই অধিক যোগ্য নন। এমতাবস্থায় গ্রামের লোকজন আপনাকে বলল, ভাল হোক আর মন্দ হোক সেতো আমাদেরই লোক, সুতরাং তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। তখন আপনি কী করবেন? এখানেই বিবেকের প্রশ্ন আসে। ইংরেজিতে বলা হয় ”বিবেকই সর্বোত্তম আইন।” তাই আত্মীয় বা নিজ গ্রামবাসী বিবেচনায় সত্যিকার অর্থে কেউ ভোট পাওয়ার যোগ্য হতে পারেনা। 
একই ধর্মের লোকদের মধ্যে সহানুভূতি থাকা স্বাভাবিক। ধর্মের বন্ধনের কারণে এধরনের আšতরিকতা থাকা স্বাভাবিক। এটি শুধু মুসলমানদের জন্যই নয়। হিন্দু, বেীদ্ধ, খৃষ্টানসহ সকল ধর্মের লোকেরাই সমধর্মের লোকদের প্রতি সহানুভুতিশীল। তাই বলে একই ধর্মের কোন খারাপ লোককে ভালবাসতে হবে? তার অবৈধ কাজে সমর্থন দিতে হবে? এমন কোন কথা নেই। যে ধর্মের লোকই হোকনা কেন তার ভাল কাজকে ভাল এবং মন্দ কাজকে মন্দ বলা উচিত। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি লক্ষ রাখা উচিত। 
বর্তমানে বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীর বিপরীতে মার্কা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কলেজ বা ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মার্কা দেয়া হয়না। বাংলাদেশের সকল মানুষ শিক্ষিত হলে প্রতীকবিহীন নির্বাচন করা যেত। মূলত প্রতীকটি দেয়া হয়েছে স্বল্পশিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত ভোটারদের সুবিধার জন্য। প্রতীক হাঁস হোক আর হাতিই হোক প্রতীকের ভালমন্দ করার কোন ক্ষমতা নেই। তারপরও প্রতীকগুলো আমাদের দেশের নির্বাচনে প্রার্থীদের উপর প্রভাব ফেলে। এজন্যই বিভিন্ন জায়গায় পছন্দের প্রতীক না পেলে প্রার্থীরা হইচই শুরু করে। প্রতীকে শুধু প্রার্র্থীরাই যে প্রভাবিত হন তাই নয়, ভোটাররাও প্রভাবিত হন। একজন মহিলা মেম্বারের সমর্থকগণ যখন মাইকিং করে বলেনÑ”মা বোনদের বলে যাই, কলস ছাড়া উপায় নাই।” তখন একজন অশিক্ষিত ও অসেচতন মহিলা ভাবতেই পারেন কলসি দিয়ে আমরা পানি আনি এবং কলসি থেকে পানি ঢেলে পানি খাই। সুতরাং আর যাই হোক একটি ভোট কলসি মার্কায় দিতেই হবে। এধরনের ভুল কেউ করলে নির্বাচনের পর খেসারত দিতে হয়। আমাদের দেশের অর্ধেক ভোটারই মহিলা। অতীতের নির্বাচনগুলোতে মহিলাদের উপস্থিতি কম থাকলেও ইদানিং কোন কোন ভোট কেন্দ্রে মহিলাদের উপস্থিতি পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি লক্ষ করা যায়। মহিলারা প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে চিনেননা। তারা স্বামী, ভাই, কিংবা ছেলে-মেয়েদের মাধ্যমে প্রভাবিত হন বলে মনে হয়। 
স্থানীয় নির্বাচন স্ব স্ব স্থানীয় ইউনিটের ইস্যুভিত্তিক হওয়াই বাঞ্চনীয়। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচন কি স্ব স্ব স্থানীয় ইউনিটের ইস্যু ভিত্তিক নির্বা চনে পরিণত হয়েছে? হয়নি। কেন হয়নি এর জবাব অবশই খুঁজে বের করতে হবে। আমরা জানি কয়েকটি গ্রাম মিলে একটি ইউনিয়ন গঠিত হয়। সেজন্য ইউনিয়ন মানে গ্রাম আর গ্রাম মানেই ইউনিয়ন। কেউ কেউ ভুলবশতঃ এই বিষয়টিও ভুলে যান। ভুলে যান বলেই ইউনিয়নের নীচে খুবই অপ্রয়োজনীয় ইউনিট (যেমন, স্বনির্ভর গ্রাম সরকার, পল্লী পরিষদ, গ্রাম সভা, গ্রাম পরিষদ, গ্রাম সরকার ও ওয়ার্ড সভা) গঠন করতে গিয়ে ১৪০ বছর বয়সী ইউনিয়নকে দূর্বলতম প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। এর নিজের আয়ে বেতন-ভাতা নেয়ার ক্ষমতা নেই, নিজস্ব আয়ে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার সামর্থ্য নেই; এটি যেন ঢালহীন, তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দারে পরিণত হয়েছে। তাই, এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় সরকার গবেষক ও সিডিএলজি’র নির্বাহী পরিচালক আবু তালেব প্রণীত ‘গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের রূপরেখা’য় ইউনিয়নের নীচে অন্য কোনও ইউনিট গঠনের প্রবল বিরোধিতা করে ইউনিয়নকেই স্থানীয় সরকারের অন্যতম সর্বনিম্ন ইউনিট করার সুপারিশ করা হয়েছে; ইউনিয়নকে স্বশাসিত ও স্বাবলম্বী একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়তে হলে জনাব আবু তালেব প্রস্তাবিত ইউনিয়ন সরকারের রূপরেখা প্রতিষ্ঠার ওপর অবশ্যই জোর দিতে হবে। সেজন্য সিডিএলজি পরিচালিত লাগাতার ক্যাম্পেইন এর প্রতি আরও সমর্থন জোরদার হতে হবে বৈকি।
ভোট ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা অর্থ সাক্ষ্য দেয়া, সুপারিশ করা, মতামত দেয়া, প্রতিনিধি নিযুক্ত করা বা আমানতের সঠিক ব্যবহার করা। ভোটারদের মতামত পক্ষে আনার জন্য টাকার কোন বিকল্প নেই বলে অনেকে মনে করেন। অনেক প্রার্থী প্রকাশ্যেই বলেন ”মানি ইজ দ্যা সেকেন্ড গড । চারদিকে টাকা উড়ালেই ভোট আসে।” ভোটারদের অনেকেই বলেন -যে যত বেশি টাকা দেবে সে তত বেশি যোগ্য। এধরনের ধারণা পোষণ করা অযৌক্তিক। নির্বাচনী অফিসগুলোতে খাদ্য ও পানীয় বিতরণ করা নিষেধ থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হচ্ছে। চায়ের দোকানেই বিরিয়ানি পাকানো হচ্ছে। প্রার্থীদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকগণ দেদারছে খাচ্ছেন। প্রার্থীরাও একে খুশি মনে নিচ্ছেন। কেননা এটাকে তারা রাজনৈতিক বিনিয়োগ হিসেবে মনে করছেন। পাশ করার পর কড়ায় গন্ডায় তা আদায় করবেন। উপযুক্ত প্রার্থীদের নির্বাচনে বিজয়ী করা ভোটারদের নৈতিক দায়িত্ব। মনে রাখতে হবে এক মুহুর্তের ভুলের কারণে আগামী ৫ বছর এর মাশুল দিতে হবে। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস লালনকারী ও মাদকপ্রেমীদের ভোট দিলে নেতার পাপের সমপরিমাণ অংশীদার ভোটারকেও হতে হবে। তাই ভেবে-চিšেত ভোট দিতে হবে। ব্যক্তি, দল, মত, ধর্ম, আত্মীয়তা, আঞ্চলিকতা ও সকল প্রকার লোভ লালসার উর্দ্ধে উঠে উপযুক্ত লোককে বিজয়ী করতে হবে । 

লেখক: প্রভাষক, সাংবাদিক ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের জন্য ক্যাম্পেনার, 
লিখার তারিখ ঃ৩১/০৮/২০১৭

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.