ঐতিহ্যের সাক্ষী কাবিলার শাহী জামে মসজিদ
ঐতিহ্যের সাক্ষী কাবিলার জামে মসজিদ
ঐতিহ্যের সাক্ষী কাবিলার শাহী জামে মসজিদ
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কাবিলা এলাকায় অবস্থিত কাবিলার শাহী জামে মসজিদ আজও ২ শত ৩৫ বছর অতিক্রম করে সার্বক্ষণিক কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কাবিলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র এক শত গজ উত্তর দিকে, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক এ মসজিদটি ১৭৮৫ সালে নির্মিত হয়।
মসজিদটিতে একটি বড় গম্বুজ এবং চার কোণায় চারটি মিনার রয়েছে, যা দেখতে প্রাচীন স্থাপত্যের অনুষঙ্গ মনে করায়। নিপুণ কারু কাজের নিদর্শন এই মসজিদে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতে আদায় হয় এবং প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণ থাকে।
স্থানীয়দের কথায়, কাবিল মজুমদার ও হাবিল মজুমদার নামে দুটি নিষ্ঠাবান ভাই এখানে থাকতেন। তারা তাদের বিশাল সম্পত্তি সমাজের কল্যাণে দান করেছিলেন—মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, বাজার ও কবরস্থানসহ। এই দানবীর অন্যতম স্মৃতি হিসেবে রয়েছে কাবিলার শাহী জামে মসজিদ, পাশেই বিশাল দিঘী ও কাবিলার শাহী কবরস্থান।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মনজুর আহম্মেদ জানিয়েছেন, কাবিলা মসজিদ কাবিল মজুমদারের নাম থেকে পরিচিত। তিনি একজন জমিদার ছিলেন, যিনি মানুষের কল্যাণে অনেক সম্পত্তি দান করেছেন। তার বংশধর রুহুল কুদ্দুছ জানান, তিনি কাবিল মজুমদারের ১২তম বংশধর এবং শুনেছেন, মজুমদার তার মালামাল কল্যাণে ব্যয় করেছিলেন, তবে তার মৃত্যু ও বিস্তারিত তথ্য জানা নেই।
বর্তমানে কাবিল মজুমদার আর নেই, তার জমিদারিও অবশিষ্ট নেই, তবে রয়ে গেছে লাখ মানুষকে সেবা করে যাওয়া কাবিলার শাহী জামে মসজিদ, বাজার ও কবরস্থান।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ধর্মীয় লেখক, কুমিল্লা
No comments