সাফল্য কথনঃ মুরাদনগর উপজেলার আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সামছুল হক কলেজ
সাফল্য কথনঃ মুরাদনগর উপজেলার আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সামছুল হক কলেজ
মমিনুল ইসলাম মোল্লা,সাংবাদিক ও কলামিস্ট ও ক্যাম্পেনার সিডিএলজি
একজন শিক্ষিত ব্যক্তি জ্ঞানের মশাল।
আর
একটি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূর্য সমতুল্য।
যার
আলোতে
অজ্ঞতা দুর হয়ে শুশীল সমাজ গড়ে উঠতে পারে।
কুমিল্লার মুরাদনগরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অবহেলিত ও অনগ্রসর জনপদ হায়দারাবাদের উন্নয়নে প্রদীপ জ্বালিয়েছেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দানবীর ও শিক্ষানুরাগী সামছুল হক।
তিনি
১৯৯১
সালে
সামছুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
এটি
২০০২
সালে
উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজের মর্যাদা লাভ করে।
কোম্পানীগঞ্জ নবীনগর রোডে করইবাড়ী নেমে একটু সামনে এগুলেই হায়দরাবাদ কলেজ চোখে পড়ে।
মনোরম
প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং এলাইড প্রতিষ্ঠান সমূহ কলেজটিকে অনন্যতা দান করেছে।
এক
কিলোমিটার পরিধি বিশিষ্ট বাউন্ডারীর ভেতরে একই ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত সামছুল হক কলেজ ছাড়াও রয়েছে বেগম
জাহানারা হক ডিগ্রী কলেজ। মাছুম বিল্লাল মেমোরিয়াল সিনিয়র মাদ্রাসা এবং বেগম জাহানারা হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
ছাত্ররা প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে একই কমপ্লেক্স থেকে ডিগ্রী পাস করে বেরুতে পারে।
সামছুল হক কলেজে আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষা দান করা হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর কৃতিত্বের সাথে এইচ এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এ প্রত্ঠিানের ছাত্রী ফরিদা ইয়াছমিন ১৯৯৪ সালে, রতন চন্দ্র দেবনাথ বানিজ্যে ৫ম, ১৯৯৯ সালে আলাউল আকবর মানবিকে ১০ম এবং সোমা চক্রবর্তী বানিজ্যে ১০ম স্থান অধিকার করে কলেজের সুনাম বৃদ্ধি করে। এ কলেজে ২৩ টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। অধিক সংখ্যক বিষয় থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় পড়তে পারে। যা ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল ফলাফলে সাহায্য করে। এ কলেজে ১জন অধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক ৩ জন, প্রভাষক ১৪ জন, প্রদর্শক ৩জন, শরীরচর্চা শিক্ষক ১জন এবং সহকারী লাইব্রেরিয়ান ১ জন রয়েছেন।বর্তমানে এ কলেজের প্রবীণ শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেনÑঅধ্যক্ষমাহবুব আলম, সহকারী অধ্যাপক রতন রঞ্জন বালা, সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম,সহকারী অধ্যাপক শাহ আলম, সিনিয়র প্রভাষক জাহানারা বেগম, সিনিয়র প্রভাষক এম এ ওয়াদুদ ও সিনিয়র প্রভাষক মমিনুল ইসলাম মোল্লা, সিনিয়র প্রভাষক আমেনা সুলতানা প্রমূখ। এ কলেজের সামনে একটি বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে। সহপাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে ছেলেরা খেলাধুলা করতে পারে। খেলাধুলা করার জন্য যথেষ্ট পরিমানে ক্রীড়া-সামগ্রী রয়েছে। এছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার সাহিত্য-ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, সঙ্গীত, বিতর্ক ও সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগীতা হয়। ২০০২ সালে সামছুল হক কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে মুরাদনগওে অনুষ্ঠিত প্রুতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। এ প্রতিযোগীতায় ৮টি ইভেন্টের মধ্যে ৬টিতে প্রথম ও ১টিতে ২য় স্থান অুিধকার করে। প্রতিষ্ঠাটির বিজ্ঞানাগার আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ। পাঠাগাওে প্রচুর পরিমাণে পুস্তক রয়েছে। যা ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানার্জণে সাহায্য করে। কম্পিইউটার, টাইপরাইটার, ওভারহেড, প্রজেক্টর, স্লাইড প্রজেক্টর, সাইক্লোস্টাইল, ফটোস্ট্যাট, বায়নোকুলার, ও টেলিস্কোপসহ অত্যাধুনিক শিক্ষাসামগ্রী রএয়ছে। গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখানে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তারা বিনামূল্যে লেখাপড়া ও হোস্টেলে ফ্রি থাকার সুযোগ পায়। শিক্ষকদেও জন্য ও এখানে বিশেষ সুযোগ –সুবিধা রয়েছে। মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ -নবীনগর সড়কে কড়ইবাড়ী নেমে একটু সামনে এগুলেই কলেজটি চোখে পড়ে। এখানে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ ২টি কলেজ, ১টি মাদ্রাসা, ১টি গার্লস হাই স্কুল ও ১টি কিন্ডার গার্টেন অবস্থিত, আর একই বাউন্ডারীর ভেতরে সবগুলো প্রতিষ্ঠানই গড়ে তুলেছেন সামছুল হক। বর্তমানে সামছুল হক কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন রেজাউল করিম। এখানে আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষা দান করা হয়।
লেখক পরিচিতি : মমিনুল ইসলাম মোল্লা,সাংবাদিক ও কলামিস্ট ও ক্যাম্পেনার সিডিএলজি


No comments