মহরম মাসের তৃতীয় খুতবা: ঈমান বির-রিসালাত //ঈমানের পরীক্ষায় পাশ করে জান্নাত লাভ

 

ঈমানের পরীক্ষায় পাশ করে জান্নাত লাভ

ঈমানের পরীক্ষায় জান্নাত লাভ

একজন মুসলমান সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার প্রতি পূর্ন বিশ্বাস রাখে। ইসলামের যাবতীয় ইবাদত ও নেক আমলের মুল ভিত্তি হচ্ছে  ঈমান। তাই প্রতিটি মুনলমান ঈমানের সাথে মৃত্যু কামনা করে । আর এজন্য তাকে প্রতিনিয়ত পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। প্রতিদিনের পরীক্ষায় পাশ করইে জান্নাতে যাওয়া যাবে।  কালিমায়ে তাইয়েবা ও কালিমায়ে শাহাদতের মূল বানী মুখে উচ্চারণ ,অন্তরে  বিশ্বাস ও কর্মে পরিণত করার মাধ্যমেই মুমিন- মুত্তাকিন হওয়া যায়। একজন মুসলমানের ঈমানে দৃঢ়তা অবলম্বন করা উচিত। সাহাবায়ে কেরামের ঈমান ছিল ইস্পাত কঠিন । রাসুলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তারা দেশ ছেড়েছেন,সুন্দর- সুন্দর বাড়ি ঘর ছেড়ে যাযাবর হয়েছেন। জীবনের সকল স্বাদ -আহলাদ কুরবানি দিয়েছেন ; শুধু মাত্র ইসলামের জন্য। অথচ আমরা সামান্য ক্ষতির আশংকায় বিকল্প মাসলা খুজি। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরিফের সুরা আনকাবুতে-২৩ বলেন ,”মানুষ কি মনে করে নিয়েছে যে,  আমরা ঈমান এনেছি কথাটুকু বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে,আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না। অথচ আমি তাদের পূর্ববর্তীদের সকলকেই পরীক্ষা করে নিয়েছি। আল্লাহ তাআলা অবশ্যই দেখবেন কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যুক। 
একজন মানুষ যখন অন্তুর দিয়ে বলে ” লা ইলাহা ইল্লাাল্লাহ ” তখন সে সকল মিথ্যা উপাস্যকে বর্জন করে কেবল এক আল্লাহর দাসত্বের প্রতিশ্রতি দান করে। আবার যখন ” মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ” বলে তখন সে এ কথাটির সত্যতা স্বীকার করে যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল। তাই আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের নির্দেশিত পথ বাদে অন্য কোন পথ সে গ্রহণ করতে পারে না। প্রয়াজনে নির্যাতন সহ্য করে ঈমানের বলে বলিয়ান হতে হবে। এক্ষত্রে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদেরকে সাহায্য করা হয়। ঈমানের অগ্নি পরীক্ষা দিয়ে মুসলমানদের জান্নাতে প্রবেশ করতে হবে। অতীতেও আল্লাহ তার বান্দাদের পরীক্ষা করেছিলেন। সুরা দুখান এর ৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, এবং ওদেরকে দিয়েছিলাম নির্দেশনাবলী যাতে ছিল সুসস্পষ্ট পরীক্ষা। ” এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে আহসানুল বায়ান এ লিখা হয়েছে, এতে মুসা (আ)ঃ কে দেয়া মুজিজা সম্পর্কে বলা হয়েছে। সেখানে পরীক্ষার দিক এই ছিল যে, মহান আল্লাাহ পাক দেখতে চেয়েছিলেন, তারা কিভাবে আমল করে। যারা মাদ্রাসা থেকে দ্বীনি শিক্ষা লাভ করে বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছেন তাদেরকে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। দুনিয়ার কাউকে খুশি করার জন্য ওহীর জ্ঞানকে গোপন করা যাবেনা, মিথ্যের সাথে আপোষ করা যাবে না। যারা ইলম অর্জন করে তা আমল করেনি কেয়ামতের দিন তাদের ভিষণ শাস্তি হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় পর্যন্ত তিনি দ্বীনে দাখিল থাকবেন। কারণ ইসলাম একটি সার্বিক জীবন ব্যবস্থা। কেউ যদি বাড়িতে ইসলাম মানে কিন্তু অফিসে গিয়ে কাজকর্মের ক্ষেত্রে ইসলামের কথা ভুলে যায় তাহলে তাকে ভুলের খেসারত দিতে হবে। সব কাজ আল্লাহকে ভয় করে করতে হবে। তা না হলে আমরা আখেরাতের পরীক্ষায় পাস করতে পারব না। আল্লাহ তায়ালা সত্য মিথ্যার পরীক্ষা করবেন। আল্লাহ বলেন, ” আমি তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি যাতে আল্লাহর সাথে যারা সত্য বলেছে তাদেরকে স্পষ্ট করে দেন। এবং যারা মিথ্যা বলেছে তাদেরকেও স্পষ্ট করে দেন। (সূরা আল আনকাবুত ১-৩)
আল্লাহ জান ও মালের পরীক্ষা নেন। এ পরীক্ষায় ধৈর্যধারন করতে হবে। আল্লাহ বলেন , নিশ্চয় তোমাদের পরীক্ষা করা হবে। তোমাদের ধনসম্পত্তি ও তোমাদের লোকজনের মাধ্যমে আর নিঃসন্দেহ তোমরা শুনতে পাবে তোমাদের আগে যাদের গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের থেকে এবং যারা শরীক করে তাদের থেকে আর আমরা নিশ্চয় তোমাদের পরীক্ষা করব ক্ষুধা দিয়ে , মাল আভাব , লোকজনে আর ফল ফসলের লোকসান করে। আর সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের (আল বাকারা১৫৫) আমরা মানুষের সাথে টাকা পয়সা লেনদেন করছি ,বাজারের জিনিসপত্র বেচাকেনা করছি, নিজের ঘরে  মা -বাবা,ভাই -বোনের সাথে বাস করছি,নিজের স্ত্রী ,বন্ধু বান্ধব ও আত্বীয় স্বজনের সাথে চলাফেরা করছি। আমরা যদি জীবনের এসব কাজে আল্লাহর বিধি নিষেধ ও আইন কানুন মেনে চলি এবং আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী যদি আপরের অধিকার রক্ষা করে চলি এবং আল্লাহর নিষেধ হওয়ার কারনে যদি অপরের অধিকার হরণ থেকে বিরত থাকি তাহলে আমাদের সারা জীবনই আল্লহর ইবাদতে অতিবাহিত হল বলতে হবে। আল্লাহর সন্তু®িটর জন্য যদি আমি গরীবদের সাহায্য করলাম ,অভুক্ত মানুষকে খেতে দিলাম ,কোন অসহায় রোগীর সেবা করলাম সেগুলো ইবাদতের কাজ বলে গণ্য হবে। এভাবে সারাজীবন অতিবাহিত করতে পারলে আমরা আখিরাতের পরীক্ষায় সফলকাম হবো।
লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের  প্রভাষক , সাংবাদিকও  ধর্মীয় গবেষক, কুমিল্লা। ০১৭১১৭১৩২৫৭    সধসরহসড়ষষধয@ুধযড়ড়.পড়স
ওহির 
ঠাে
ওহির আলোকে--ঈমানের পরীক্ষা
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরিফের সুরা আনকাবুতে-২৩ বলেন ,”মানুষ কি মনে করে নিয়েছে যে,  আমরা ঈমান এনেছি কথাটুকু বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে,আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না। অথচ আমি তাদের পূর্ববর্তীদের সকলকেই পরীক্ষা করে নিয়েছি। আল্লাহ তাআলা অবশ্যই দেখবেন কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যুক। 
সুরা দুখান এর ৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, এবং ওদেরকে দিয়েছিলাম নির্দেশনাবলী যাতে ছিল সুসস্পষ্ট পরীক্ষা। ”
আল্লাহ তায়ালা সত্য মিথ্যার পরীক্ষা করবেন। আল্লাহ বলেন, ” আমি তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি যাতে আল্লাহর সাথে যারা সত্য বলেছে তাদেরকে স্পষ্ট করে দেন। এবং যারা মিথ্যা বলেছে তাদেরকেও স্পষ্ট করে দেন। (সূরা আল আনকাবুত ১-৩)
আল্লাহ বলেন , নিশ্চয় তোমাদের পরীক্ষা করা হবে। তোমাদের ধনসম্পত্তি ও তোমাদের লোকজনের মাধ্যমে আর নিঃসন্দেহ তোমরা শুনতে পাবে তোমাদের আগে যাদের গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের থেকে এবং যারা শরীক করে তাদের থেকে আর আমরা নিশ্চয় তোমাদের পরীক্ষা করব ক্ষুধা দিয়ে , মাল আভাব , লোকজনে আর ফল ফসলের লোকসান করে। আর সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের (আল বাকারা১৫৫) আমরা মানুষের সাথে টাকা পয়সা লেনদেন করছি ,বাজারের জিনিসপত্র বেচাকেনা করছি, নিজের ঘরে  মা -বাবা,ভাই -বোনের সাথে বাস করছি,নিজের স্ত্রী ,বন্ধু বান্ধব ও আত্বীয় স্বজনের সাথে চলাফেরা করছি।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.