২৮ সফর - ইমাম হাসান শাহাদাত বরণ করেন
হাসান ইবনে আলী
হ়াসান ʾইবনে ʿআলী ٱلْحَسَن ٱبْن عَلِيّ | |||||
|---|---|---|---|---|---|
| ইমাম[৩] খলিফা আস-সৈয়দ আল-মুজতবা[৪] আমীরুল মুʾমিনীন সৈয়দু শবাবি আহলিল জান্নাহ | |||||
হ়াসান ʾইবনে ʿআলীর নাম সংবলিত আরবি চারুলিপি | |||||
| ৫ম খলিফা (সুন্নি ইসলাম) | |||||
| খিলাফত | ৬৬১ খ্রি. | ||||
| পূর্বসূরি | ʿআলী ʾইবনে আবী ত়ালিব ؑ | ||||
| উত্তরসূরি | মুʿয়াবিয়া ʾইবনে আবী সুফিয়ান (১ম উমাইয়া শাসক হিসেবে) | ||||
| ২য় ইমাম (শিয়া ইসলাম) | |||||
| ইমামত | ৬৬১ – ৬৭০ খ্রি. | ||||
| পূর্বসূরি | ʿআলী ʾইবনে আবী ত়ালিব ؑ | ||||
| উত্তরসূরি | হ়োসাইন ʾইবনে ʿআলী ؑ | ||||
| জন্ম | হ়াসান ʾইবনে ʿআলী ১ ডিসেম্বর ৬২৪ (১৫ রমজান ৩ হিজরি)[৫][৬] মদীনা, হেজাজ, আরব উপদ্বীপ | ||||
| মৃত্যু | ১ এপ্রিল ৬৭০ (বয়স ৪৫) (২৮ সফর ৫০ হিজরি)[৭][৮] মদীনা, উমাইয়া খিলাফত | ||||
| সমাধি | |||||
| দাম্পত্য সঙ্গী | |||||
| সন্তান | |||||
| |||||
| স্থানীয় নাম | ٱلْحَسَن ٱبْن عَلِيّ ٱبْن أَبِي طَالِب | ||||
| বংশ | আহল আল-বাইত | ||||
| বংশ | বনু হাশিম (আলীয়) | ||||
| রাজবংশ | কুরাইশ | ||||
| পিতা | ʿআলী ʾইবনে আবী ত়ালিব ؑ | ||||
| মাতা | ফাত়িমা বিনতে মুহ়ম্মদ ؑ | ||||
| ধর্ম | ইসলাম | ||||
| মৃত্যুর কারণ | বিষপ্রয়োগে হত্যা | ||||
| সমাধি | জান্নাতুল বাকি, মদীনা, হেজাজ (অধুনা সৌদি আরব) | ||||
| অন্যান্য নাম | ইকিঞ্জি আলী (দ্বিতীয় আলী) তুর্কী: İkinci Ali | ||||
উল্লেখযোগ্য কর্ম | হাসান–মুয়াবিয়া চুক্তি | ||||
| প্রতিদ্বন্দ্বী | মুʿয়াবিয়া ʾইবনে আবী সুফিয়ান | ||||
| আত্মীয় | মুহ়ম্মদ ইবনে ʿআব্দুল্লাহ ﷺ (পিতামহ) হ়োসাইন ইবনে ʿআলী ؑ (ভাই) | ||||
| হাসান ইবনে আলি |
|---|
| এর অংশ |
আল-হ়াসান ইবনে ʿআলী ইবনে ʾআবী ত়ালিব (আরবি: ٱلْحَسَن ٱبْن عَلِيّ ٱبْن أَبِي طَالِب, প্রতিবর্ণী. Al-Ḥasan ibn Alīy ibn Abī Ṭālib; ১ ডিসেম্বর ৬২৪ – ১ এপ্রিল ৬৭০ খ্রি.)[৯] ছিলেন ইসলামের পয়গম্বর মুহাম্মদের ﷺ দৌহিত্র, আলী ؑ ও ফাতিমার ؑ জ্যেষ্ঠপুত্র এবং হোসাইনের ؑ জ্যেষ্ঠভ্রাতা। সুন্নি ইসলাম অনুসারে তিনি হলেন পঞ্চম[ক] রাশিদুন খলিফা।[১২][১৩] শিয়া ইসলাম অনুসারে তিনি দ্বিতীয় ইমাম।[১৪] মুসলমানরা তাঁকে আহল আল-বাইত এবং আহল আল-কিসার একজন সদস্য হিসাবে শ্রদ্ধা করে থাকে। হাসান তাঁর পিতা আলী ইবনে আবী তালিবের মৃত্যুর পর খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন, তবে ছয় বা সাত মাস শাসনকার্য পরিচালনার পর প্রথম ফিতনার অবসানের লক্ষ্যে তিনি শর্তসাপেক্ষে ক্ষমতাভার মুয়াবিয়া ইবনে আবী সুফিয়ানের নিকট হস্তান্তর করেন।[১৫][১৬][১৭] হাসানের পদত্যাগের পর মুয়াবিয়ার মাধ্যমে খিলাফত রাজতন্ত্রে পরিণত হয়।[১৮][১৯] আল-হাসান তাঁর অনুদান, দরিদ্র ও দাস-দাসীদের প্রতি করুণা, জ্ঞান, সহনশীলতা ও সাহসিকতার জন্য খ্যাত ছিলেন।[২০] কুফা থেকে শাসনভার পরিত্যাগের পর জীবনের বাকি সময় তিনি মদীনাতে অতিবাহিত করেন। বনু উমাইয়া দ্বারা প্ররোচিত স্বীয় স্ত্রী জাʿদা বিনতুল আশʿআস কর্তৃক বিষপ্রয়োগে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে আল-হাসান মৃত্যুবরণ করেন।[১৫][১৬][২১][২২][২৩][২৪] তাঁকে জান্নাতুল বাকিতে সমাহিত করা হয়।
No comments