বিতির নামাজ পড়ার নিয়ম

 


বিতর সালাতের নিয়ম-


বিতর মানে বেজোড় আর বেজোড় ইত্যাদি বিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ  মর্যাদাপূর্ণ নামায


বিতর পড়া কি ফরয/ওয়াজিব না সুন্নতঃ

বিতর সালাত হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) বলেনবিতর নামায সুন্নাতে মুআক্কাদা। এব্যাপারে মুসলমানগণ ঐকমত্য। কোন মানুষ যদি বিতর নামায পরিত্যাগ করার ব্যাপারে দৃঢ় থাকে বা অবিরাম বিতর নামায না পড়েতবে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না।[মুন্তক্বাল আযকার- ডঃ খালেদ আল জুরাইসীপ্রকাশনাঃ আল জুরাইসী ইষ্টঃ। দ্বিতীয় প্রকাশঃ ১৪২৭ হিঃ।]

দলীলঃ  – আলী (রাঃবলেন, “বিতির সালাত ফরয সালাতের মতো বাধ্যতামূলক নয়তবে আল্লাহর রাসুল (সাঃএকে সুন্নত করেছেন রাসুলুল্লাহ (সাঃবলেছেননিশ্চয় আল্লাহ বেজোড় (বিতির), তিনি বেজোড় সংখ্যা পছন্দ করেন সুতরাংহে আহলে কুরআনতোমরা বিতির পড়তে থাকো
আবু দাউদতিরমিযীনাসায়ীইবনে মাজাহ

দলীলঃ  – আবু মুহাম্মাদ নামে এক লোক বললোবিতির সালাত ওয়াজিব এই কথা শুনে প্রখ্যাত সাহাবী উবাদাহ বিন সামিত (রাঃবলেনআবু মুহাম্মাদ ভুল বলেছে......হাদীসের শেষ পর্যন্ত
আবু দাউদনাসায়ীইবনে হিব্বান

দলীলঃ  – রাসুলুল্লাহ (সাঃফরয সালাত কখনোই সওয়ারীর (গাধা বা ঘোড়ারপিঠে চড়ে পড়তেন নাশুধু নফল সালাত পড়তেন কিন্তু তিনি বিতির সালাত সওয়ারীর উপর পড়েছেন  থেকে প্রমানিত হয় বিতির সালাত ফরয বা ওয়াজিব নয়
বুখারীমুসলিমদারা কুতনী ১৬১৭


কখন পড়তে হবে?

এশার নামাযের পর থেকে নিয়ে ফজর উদিত হওয়ার আগ পর্যন্ত। উক্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে  নামায আদায় করবেযেমন ইতিপূর্বে খারেজা ইবনে হুযাফা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে উল্লেখ করা হয়েছেতবে শেষ রাত্রে অর্থাৎ ফজরের পূর্বে আদায় করা উত্তম। ছহীহ হাদীছে প্রমাণিত হয়েছে যেনবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো রাতের প্রথম ভাগে কখনো দ্বিতীয় ভাগে এবং অধিকাংশ সময় শেষ ভাগে বিতর নামায পড়েছেন

আয়েশা (রাঃ) বলেনরাতের প্রত্যেকভাগে রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর নামায পড়েছেন। রাতের প্রথমভাগেরাতের মধ্যভাগে অতঃপর রাতের শেষভাগে বিতর পড়া তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়।[মুসলিমঅধ্যায়ঃ মুসাফিরের নামায হা/১২৩১। বুখারীঅধ্যায়ঃ জুমআ হা/৯৪১।]


জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি এই আশংকা করে যেশেষ রাতে নফল নামায পড়ার জন্য উঠতে পারবে নাতবে সে যেন রাতের প্রথমভাগেই বিতর নামায পড়ে নেয়। আর যে ব্যক্তি শেষ রাতে ক্বিয়াম করার আগ্রহ রাখে সে যেন শেষ রাতেই বিতর নামায পড়ে। কেননা শেষ রাতের নামাযে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হন। আর এটাই উত্তম।[মুসলিমঅধ্যায়ঃ মুসাফিরের নামায হা/১২৫৫। তিরমিযীইবনু মাজাহ্‌।]



বিতর নামাযের কাযাঃ


অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি কারো বিতর নামায ছুটে যায়তবে সে দিনের বেলায় উহা কাযা আদায় করতে পারেআবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন-যে ব্যক্তি বিতর নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকবে অথবা উহা পড়তে ভুলে যাবেসে যেন স্মরণ হলেই উহা আদায় করে নেয়আবু দাউদঅধ্যায়ঃ ছালাতঅনুচ্ছেদঃ বিতরের পর দুআর বর্ণনা হা/১২১৯। তিরমিযীঅধ্যায়ঃ ছালাতঅনুচ্ছেদঃ কোন মানুষ যদি বিতর না পড়ে ঘুমিয়ে থাকে বা ভুলে যায় তখন কি করবেহা/৪২৮। হাদীছটি ছহীহ্‌

বিতর নামায কাযা আদায় করার ব্যাপারে আরেকটি নিয়ম পাওয়া যায়। তা হচ্ছেঃ দিনের বেলায় ১২ রাকাত নামায আদায় করা। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনযদি কখনো নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে নিদ্রা জনিত কারণে বা অসুস্থতার কারণে রাতে ক্বিয়ামুল্লায়ল করতে অপরাগ হতেনতবে দিনের বেলায় ১২ রাকাত নামায আদায় করতেন
মুসলিমঅধ্যায়ঃ মুসাফিরের নামাযঅনুচ্ছেদঃ রাতের যাবতীয় নামায এবং যে ব্যক্তি নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকবে বা অসুস্থ হয়ে যাবে। (এটি দীর্ঘ একটি হাদীছের অংশ বিশেষ) হা/১২৩৩



একরাতে দুবার বিতর পড়াঃ

একরাতে দুবার বিতর পড়া বিধিসম্মত নয়কোন মুসলমান যদি প্রথম রাতে বিতর আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ে। অতঃপর জাগ্রত হয়ে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করার জন্য আল্লাহ তাকে সুযোগ দান করেন,তবে সে দুদুরাকাত করে নামায আদায় করবে। শেষে আর বিতর পড়বে না
দলিল- 
ক্বায়স বিন ত্বল্ক্ব বলেনএকদা রামাযানে আমার পিতা ত্বল্ক্ব বিন আলী (রাঃ) আমাদের নিকট আগমণ করেনসন্ধ্যা হয়ে গেলে তিনি আমাদের নিকটেই ইফতার করেন। অতঃপর আমাদের নিয়ে তারাবীর নামায পড়েন এবং বিতর পড়েন। তারপর তাঁর নিজের মসজিদে গিয়ে লোকদের নিয়ে ক্বিয়ামুল্লায়ল করেন। যখন বিতর নামায বাকী ছিল তখন তিনি একজন লোককে আগে বাড়িয়ে দিয়ে বললেনলোকদের নিয়ে বিতর পড়ে নাও। কেননা আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,একরাতে দুবার বিতর নেই
আবু দাউদঅধ্যায়ঃ বিতরঅনুচ্ছেদঃ বিতর ভেঙ্গে দেয়া হা/১২২৭। তিরমিযীঅধ্যায়ঃ বিতরঅনুচ্ছেদঃ রাতে দুবার বিতর নেই হা/৪৩২। নাসাঈঅধ্যায়ঃ ক্বিয়ামুল্লায়ল  দিনের নফল নামাযঅনুচ্ছেদঃ এক রাতে দুবার বিতরের ব্যাপারে নবী বএর নিষেধাজ্ঞাহা/১৬৬১। শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেনদ্রঃ ছহীহ তিরমিযী১/১৪৬

বিতির সালাত কত রাকাতঃ

বিতর নামাযের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট একটি সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়  নামায ১১  ১৩ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়
 

বিতির কিভাবে পড়তে হবেঃ 

নিম্নে ১ রাকাত ও তিন রাকাত বিতরের নিয়ম আলোচিত হল-

 রাকাত পড়ার নিয়মঃ 

অন্তরে নিয়ত করে সানাআউযুবিল্লাহবিসমিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহা পড়তে হবে এর পরে যে কোনো একটা সুরা মিলিয়ে দুয়া কুনুত পড়তে হবেকুনুত দুইভাবে পড়া যায়রুকুর আগে  রুকুর পরে। কুনুত পড়ার সময় মুনাজাত করার মতো হাত তুলে কুনুত পড়া মুস্তাহাবআর রুকুর পরে কুনুত পড়লেকিরাতের পরে রুকু করতে হবে, রুকু থেকে দাঁড়িয়ে সামিয়াল্লাহ হুলিমান হামীদাহরাব্বানা লাকাল হামদ বলার পরে দাঁড়ানো অবস্থাতে মুনাজাতের মতো হাত তুলে কুনুত পড়বে কুনুত শেষ হলে আল্লাহু আকবার বলে সিজদাতে যাবেতারপর দুটি সিজদা করে তাশাহুদদরূদ  দুআ পড়ে সালাম ফিরাবে




কুনুত পড়া কি ওয়াজিব?

কুনুত পড়া ওয়াজিব নয় কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃসব সময় বিতির সালাতে কুনুত পরতেন না তাই আমাদের উচিত বিতির সালাতে কখনো কখনো দুয়া কুনুত ছেড়ে দেওয়াকারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃএর সুন্নত এমনই
আবু দাউদনাসায়ীতিরমিযীমিশকাত ১২৯১-১২৯২


কুনুত-

আল্লাহুম্মাহ্দিনি ফীমান হাদায়তা ওয়া আফেনী ফীমান আফায়তাওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা ওয়া বারেক লী ফীমা ত্বায়তাওয়া ক্বেনী শার্রা মা ক্বাযায়তাফা ইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা য়্যুক্বযা আলাইকাওয়া ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু মান ওয়ালায়তাওয়ালা ইয়েয্যু মান আদায়তাতাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তাআলায়তা

অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! আমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে তাদের অন্তর্ভূক্ত কর যাদের তুমি হেদায়াত করেছআমাকে নিরাপদে রেখে তাদের মধ্যে শামিল করযাদের তুমি নিরাপদ রেখেছ। তুমি আমার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে তাদের মধ্যে শামিল কর যাদের তুমি অভিভাবক হয়েছ। তুমি আমাকে যা দান করেছ তাতে বরকত দাও। তুমি আমাকে সেই অনিষ্ট থেকে রক্ষা কর যা তুমি নির্ধারণ করেছকারণ তুমি ফায়সালাকারী এবং তোমার উপর কারো ফায়সালা কার্যকর হয় না। তুমি যার সাথে মিত্রতা পোষণ কর তাকে কেউ লাঞ্ছিত করতে পারে না। আর যার সাথে শত্রুতা পোষণ করসে কখনো সম্মানিত হতে পারে না। হে আমাদের রব! তুমি খুবই বরকতময়সুউচ্চ  সুমহান

তিরমিযীঅধ্যায়ঃ বিতর নামাযঅনুচ্ছেদঃ বিতরে কুনূতের বিবরণ হা/৪২৬। নাসাঈঅধ্যায়ঃ কিয়ামুল্লায়ল  দিনের নফল নামাযঅনুচ্ছেদঃ বিতরের দু হা/১৭২৫। আবু দাঊদঅধ্যায়ঃ বিতর নামাযঅনুচ্ছেদঃ বিতরে কুনূতের বিবরণহা/১২১৪। ইবনু মাজাহঅধ্যায়ঃ নামায প্রতিষ্ঠা করা  তাতে সুন্নাতঅনুচ্ছেদঃ বিতরে কুনূতের বিবরণহা/১১৬৮। শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেছেনদ্রঃ ইরউয়াউল গালীলহা/৪৪৯। মেশকাত- আলবানী ১/৩৯৮পৃঃ হা/ ১২৭৩

তিন রাকাত বিতরঃ


 নামায পড়ার বিশুদ্ধ পদ্ধতি হচ্ছে দুটি

প্রথম পদ্ধতিঃ 

 দুরাকাত পড়ে সালাম ফেরানো। অতঃপর এক রাকাত পড়া।  পদ্ধতির দলীল হলো- আবদুল্লাহ্‌ ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিততিনি বলেন-জনৈক ছাহাবী রাতের নামায সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে জিজ্ঞেস করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনরাতের নামায দুদু রাকাত করেযখন ফজর হওয়ার আশংকা করবে তখন এক রাকাত বিতর পড়ে নিবে।[ছহীহ বুখারীঅধ্যায়ঃ বিতর নামাযঅনুচ্ছেদঃ বিতরের বর্ণনা। হা/৯৩২ (বাংলা বুখারী)। মুসলিমঅধ্যায়ঃ মুসাফিরের নামাযহা/১২৩৯।]



ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)  থেকে আরো বর্ণিতজনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বিতর নামায সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন,দুরাকাত এবং এক রাকাতের মাঝে সালাম ফিরে পার্থক্য করে নিবে। আসরাম স্বীয় সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেন। দ্রঃ আল মুগনী ২/৫৮৯



দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ 


দুরাকাত পড়ে তাশাহুদের জন্য না বসে সালাম না ফিরিয়ে একাধারে তিন রাকাত পড়ে সালাম ফেরানো।  কথার দলীলহযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেনরাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনি রাকাত বিতর নামায পড়তেন। এর মধ্যে তাশাহুদের জন্যে বসতেন নাএকাধারে তিন রাকাত পড়ে শেষ রাকাতে বসতেন  তাশাহুদ পড়তেন। এভাবেই বিতর পড়তেন আমীরুল মুমেনীন হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ)হাদীছটি বর্ণনা করেন ইমাম হাকেমতিনি হাদীটিকে ছহীহ বলেন

একাধারে তিন রাকাত বিতর পড়ার ইঙ্গিতে আরেকটি হাদীছ পাওয়া যায়। উবাই বিন কা (রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর নামাযে প্রথম রাকাতে সাব্বেহিসমা রাব্বিকাল লা’, দ্বিতীয় রাকাতে কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফেরূন’ এবং তৃতীয় রাকাতে কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ পড়তেন। আর সবগুলো রাকাত শেষ করেই সালাম ফেরাতেন।[নাসাঈঅধ্যায়ঃ ক্বিয়ামুল্লায়ল  নফল নামাযঅধ্যায়ঃ বিতরের ক্ষেত্রে উবাই বিন কাবের হাদীছ বর্ণনায় বর্ণনাকারীদের বাক্যের মধ্যে বিভিন্নতা। হা/১৬৮১।]


মাগরিবের মত তিন রাকাত বিতর না পড়াঃ
 
আবু হুরায়রাহ্‌ (রাঃ) হতে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
তোমরা মাগরিবের নামাযের সাথে সাদৃশ্য করে তিন রাকাত বিতর পড়নাবরং পাঁচ রাকাত দ্বারা বা সাত রাকাত দ্বারা বা নয় রাকাত দ্বারা কিংবা এগার রাকাত দ্বারা বিতর পড়
তাহাভীদারাকুতনীইবনু হিব্বান  হাকিম হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীছটিকে বুখারী  মুসলিমের শর্তানুযায়ী ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন এবং ইমাম যাহাবী সমর্থন করেছেন। ইবনু হাজার  শাওকানীও ছহীহ্‌ বলেছেন। (দ্রঃ ফাতহুল বারী২/৫৫৮নায়লুল আউতার ৩/৪২-৪৩। শায়খ আলবানীও ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন (দ্রঃ ছালাতু তারাবীহ্‌- ৮৪  ৯৭ পৃঃ)



বিতর নামায শেষ করলেঃ
বিতর নামাযের শেষে সালাম ফিরিয়েই অন্যান্য তাসবীহ দুআ ইত্যাদি বলার পূর্বে সুবহানাল মালিকিল্‌ কুদ্দুস’ কথাটি তিনবার বলা সুন্নাত। শেষেরবার একটু টেনে বলতে হয়

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.