কৃপনতা ধ্বংস ডেকে আনেGreed brings destruction ,কৃপন ব্যক্তিরা আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় না করে সোনা –রুপা জমা করে রাখে, যারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পথে ব্যয় করে না তাদেরকে কঠিন আযাবের ব্যাপারে পবিত্র কুরআন মজিদে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে&&&&&&&&&&&&&&&&&&

কৃপনতা ধ্বংস ডেকে আনেGreed brings destruction ,কৃপন ব্যক্তিরা আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় না করে সোনা –রুপা জমা করে রাখে, যারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পথে ব্যয় করে না তাদেরকে কঠিন আযাবের ব্যাপারে পবিত্র কুরআন মজিদে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। কৃপন ব্যক্তিগণ তাদের মালামাল নিয়ে গর্ব করেন। এ মাল পরকালে তাদের কোন উপকারে আসবে না। আবু হুরায়রা (রাঃ)  থেকে বর্ণিত-  রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেছেন, বান্দা আমার মাল, আমার সম্পদ বলে ( তথা গর্ব করে)। প্রকৃতপক্ষে তার মাল হতে পারে তার ( উপকারে আসে) মাত্র ৩টি। যা সে খেয়ে শেষ করে দিয়েছে বা পরিধান করে ছিড়ে ফেলেছে অথবা দান করে ( পরকালের জন্য) সংরক্ষণ করেছে। এতদ্ভিন্ন যা আছে তা তার কাজে আসবে না এবং সে লোকদের ( ওয়ারিছদের) জন্য ছেড়ে চলে যাবে ( মুসলিম)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, যে অর্থ জমায় এবং গুণে গুণে রাখে । সে মনে করে তার অর্থ সম্পদ চিরকাল থাকবে (হুমাযা-১০৪/ ২,৩,) এর অর্থ নিজের ধন দৌলতের অহংকারে অনেক মানুষ অন্যদেরকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করে। তারা কোন্ যায়গায় কত টাকা রেেেখেছে তা বার বার হিসেব করে দেখে। এ টাকা আরো কোথায় কোথায় খাটিয়ে অধিক অর্থ জমা করা যায় সে দিকে মনযোগ দেয়। কৃপন লোকেরা ধন সম্পদের ব্যাপারে সব সময় গর্ব করে থাকে। তারা যুক্তি দেন তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রিয় বান্দা না হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন  তাদেরকে এত ধন সম্পদ দিতেন না। তারা আরো বিশ্বাস করেন যে,  আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এখানে যেহতু অধিক ধন-সম্পদ দিয়েছেন, আখিরাতেও তাদের কোন সমস্যা হবে না। তারা একথাও বলেন যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শাস্তি দিলে তাদেরকেই দিবেন যারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত।  আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পথে সম্পদ খরচ না করলে বান্দার নিজেরই ক্ষতি। কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মোটেই বান্দার মুখাপেক্ষী নন। মানুষ কোন ভাল কাজ করলে তার সুফল মানুষই পাবে। তিনি বান্দার ধন-সম্পদ এর প্রত্যাশী নন। তিনি আমাদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন এই কারণে যে, যাতে এর মাধ্যমে গরীব দুঃখীরা লালিতপালিত হতে পারে। এর মাধ্যমে বান্দা পরকালের পুন্য সঞ্চয় করতে পারে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, একদা রাসুল রাসুলে আকরাম (সাঃ)জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে , যে নিজের মাল অপেক্ষা আপন উত্তরাধীকারীর সম্পদকে অধিক ভালবাসে ? তারা বল্লেন, হে আল্লার রাসুল আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই ; বরং ওয়ারিছদের সম্পদ অপেক্ষা নিজের নিজের সম্পদকেই বেশি ভালবাসে। তিনি বল্লেন, যে ( আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পথে খরচ করে) যা অগ্রিম পাঠায় সেটিই তার সম্পদ। আর যা সে পেছেনে রেখে যায় সেটা তার ওয়ারিছের সম্পদ (বুখারি)। আল্লাহ  বিমুখ মানুষেরা মনে করে তাদের ধন সম্পদ প্রাচুর্য -ঐশ্বর্য চিরকাল তাদের সাথে থাকবে। এটি সম্পূর্ণ   ভুল ধারণা। সম্পদের মোহ তা দেরকে এতটাই আকৃষ্ট করে যে মৃত্যুর কথা তাদের মনে থাকে না। তাদের মনে কখনও  এ চিন্তার উদয় হয়না যে, এক সময়  এসব কিছু ছেড়ে দিয়ে খালি হাতে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে। কারুণ ছিল মুসা (আঃ) এর বংশের লোক। তার গলার সুর ছিল মিষ্টি। সে সুন্দর করে তাওরাত পড়ত। এক সময় সে মুনাফেক হয়ে যায়। সে সম্পদশালী ছিল বলে নিজেকে গর্ব বোধ করত এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে ভুলে গিয়েছিল। ষাটটি খচ্চর তার চাবি বহন করত। সে দাম্বিকতার কারণে কাপড় নিচের দিকে ঝুলিয়ে পড়ত এবং গরীব মিসকিনকে সাহায্য করত না। পরবতর্ীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কারুণকে তার ধন সম্পদসহ জীবন্ত মাটিতে প্রোথিত করেন।  আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দাকে ধন-সম্পদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। কাউকে ধন সম্পদ কম দিয়ে কাউকে বেশি দিয়ে পরীক্ষা করেন। ইবন আবু উমর (রহঃ)  ৃৃ.. আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহ থেকে মারফুরুপে বর্ণিত যে,  রাসুলে আকরাম (সাঃ)বলেছেন- যে ব্যক্তি তার ধন সম্পদের যাকাত দেয় না, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কিয়ামতের দিন তার গলায় একটা আযদাহা পেঁচিয়ে দিবেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন-যে বিষয়ে তারা কৃপনতা করবে কিয়ামতের দিন তাই তাদের গলায় বেড়ী হবে (আল ইমরান-৩/১৮০)। সুরা বাকারাতে(২/২৭২) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, তোমরা যদি ধন সম্পদ দান-খয়রাত করো, তা তোমাদের নিজেদের জন্য ভালো। ( তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভ করার জন্যই তো অর্থ ব্যায় করে থাকো। কাজেই দান খয়রাত করে তোমরা যা কিছু অর্থ ব্যায় করবে তার পুরাপুরি প্রতিদান দেয়া হবে এবং এ ক্ষেত্রে কোন ক্রমেই তোমাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হবে না।” কৃপনতা ধ্বংস ডেকে আনে। হাফস ইবন উমার (রহঃ) ..আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হতে বর্নিত। তিনি বলেন,  রাসুলে আকরাম (সাঃ)ভাষণ দিলেন। তাতে তিনি বল্লেন-তোমরা কৃপনতাকে ভয় করো। কেননা কৃপনতার কারনে তোমাদের পূর্ববতর্ী লোকেরা ধ্বংস হয়েছে। তাদের লোভ লালসা তাদেরকে কৃপনতার নির্দেশ দিয়েছে -তখন তারা কৃপনতা করেছে। আর তা তাদেরকে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেছে। তখন তারা তা ছিন্ন করেছে। আর তখন তা তাদেরকে লাম্পট্যের দিকে প্ররোচিত করেছে। তখন তারা তাতে লিপ্ত হয়েছে( নাসাঈ, আহমদ)। রাসুলে আকরাম (সাঃ)কৃপনতা থেকে নিয়মিত আল্লাহ রাব্বুল আলামিনর কাছে পানাহ চাইতেন। তিনি বলতেন হে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন! আমি পানাহ চাই তোমার কাছে অলসতা থেকে , বার্ধক্যজনিত জরাগ্রস্ততা থেকে, কাপুরুষতা থেকে, মাসিহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং কবরের আযাব থেকে (বুখারি)। সুরা আল হাশরে(৫৯/৭) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, - আল্লাহ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তার রাসুলকে যা দিয়েছেন, তা  রাসুলের তার আত্মীয়-স্বজনের, ইয়াতিমের , অভাবগ্রস্তদের এবং মুসাফিরদের জন্য,  যাতে ধনশ্বৈর্য কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যেই পুঞ্জীভূত না হয়।”লেখকঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের  প্রভাষক ও সাংবাদিক, কুমিল্লা। ০১৭১১৭১৩২৫৭

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.