তওবার মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্তি Redemption from sin through repentance এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তওবাতুন নাসূহ বা পরিশুদ্ধ তওবা প্রতিটি গোনাহগারের উপর ফরয। এটি আল্লাহর হক আদায়ে উদাসীনতার দরুনই তিনি এই নির্দেশ করেন। পাপরাশিকে নেকীতে রূপান্তরিত হবার ওয়াদা এবং কল্যাণ ও বিজয়স্বরূপ জান্নাতে প্রবেশ করানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উক্ত কথার উদ্দেশ্য এই যে, ব্যাপক তওবা সকল মুসলিমের জন্যই সাব্যস্ত। সকল গোনাহের জন্যও তওবা জরুরী -যেগুলো করতে আল্লাহ নিষেধ করেন, যেগুলো পরিহার ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে না।আগার আল-মুযানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,«يا أيها الناس توبوا إلى الله ، فإني أتوب في اليوم إليه مائة مرة»“হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহর নিকট তাওবা কর, আর আমিও দৈনিক একশত বার তাঁর নিকট তাওবা করি।”সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ২৭০২।ggggggggggggggggggggggggggggggggggggggg

তওবার মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্তি
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তওবাতুন নাসূহ বা পরিশুদ্ধ তওবা প্রতিটি গোনাহগারের উপর ফরয। এটি আল্লাহর হক আদায়ে উদাসীনতার দরুনই তিনি এই নির্দেশ করেন। পাপরাশিকে নেকীতে রূপান্তরিত হবার ওয়াদা এবং কল্যাণ ও বিজয়স্বরূপ জান্নাতে প্রবেশ করানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উক্ত কথার উদ্দেশ্য এই যে, ব্যাপক তওবা সকল মুসলিমের জন্যই সাব্যস্ত। সকল গোনাহের জন্যও তওবা জরুরী -যেগুলো করতে আল্লাহ নিষেধ করেন, যেগুলো পরিহার ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে না।আগার আল-মুযানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,«يا أيها الناس توبوا إلى الله ، فإني أتوب في اليوم إليه مائة مرة»“হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহর নিকট তাওবা কর, আর আমিও দৈনিক একশত বার তাঁর নিকট তাওবা করি।”সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ২৭০২।

PORICHOY তাওবার পরিচয়
তাওবা শব্দের তা বর্ণে যবর ওয়া বর্ণে সুকুন যোগে গঠিত হয়। আভিধানিক অর্থ পাপ থেকে ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা, প্রত্যাগমন করা ইত্যাদি। বিশেষ পদে অর্থ অনুতাপ, অনুশোচনা। ড. মুহাম্মদ ড. হামিদ সাদিক বলেন: (‘তাবাক্রিয়া হতে তাওবা হলো মাসদার। অর্থ পাপ থেকে ফিরে আসা। কৃতপাপের অনুশোচনা করা। পুনরায় না করার দৃঢ়সংকল্প করা।’
QURAN তাওবা সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনা
১.   আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:﴿وَمَن يَعۡمَلۡ سُوٓءًا أَوۡ يَظۡلِمۡ نَفۡسَهُۥ ثُمَّ يَسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُور ا رَّحِيم ا ١١٠ ﴾ [النساء: ١١٠]
‘যে গোনাহ করে কিংবা নিজের উপর যুলুম করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।’ সূরা আন-নিসা, ৪:১১০।
২.   আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনগণকে তাওবা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন: “হে মু’মিনগণ! তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারে।”সূরা আন-নূর : ৩১।
৩.   আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন এবং সাদাকা গ্রহণ করেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা আত-তাওবা: ১০৪।

HADITH তাওবা সম্পর্কে হাদীসের বর্ণনা
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি পাপ থেকে তাওবা করে সে এমন হয়ে যায়, যেন তার কোন পাপই নেই।”ইবন মাজাহ: ৪২৫০।আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“মানুষ মাত্রই পাপী, আর পাপীদের মধ্যে তাওবাকারীরাই উত্তম।জামে তিরমিযি, হাদীস নং২৪৯৯।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন: “আল্লাহ তাঁর মু’মিন বান্দার তাওবার কারণে অধিকতর আনন্দিত হনসহীহ মুসলিম, হাদীস নং২৭৪৪।আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলু¬ল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ তার হারানো মাল পুনঃপ্রাপ্তিতে যতটা আনন্দিত হয়, তোমাদের কারো তাওবায় (ক্ষমা প্রার্থনায়) আল্লাহ তার চেয়ে অধিক আনন্দিত হয়।জামে তিরমিযি, হাদীস নং২৪৯৯।আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“সে সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ। তোমরা যদি গোনাহ না করতে তবে আল্লাহ তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিতেন। অতঃপর এমন এক জাতি সৃষ্টি করতেন যারা গোনাহ করতো অতঃপর তারা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং আল্লাহ তা‘আলা তাদের ক্ষমা করতেন।”সহীহ মুসলিম, 

KIVABE আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার তওবা দ্বারা যারপরনাই আনন্দিত হন। যেমনটি হাদীসে এসেছে: ‘খাদেমুন্নবী’ আবু হামযা আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার তওবা দ্বারা অতখানি খুশী হন যতখানি খুশী হয় বিজন মরুতে হারিয়ে ফেলা উটের মালিক তার উট প্রাপ্তিতে।”বুখারী: ৬৩০৯; মুসলিম: ২৭৪৭।কাজেই কোনও মুসলিম যখন গোনাহে লিপ্ত হয় তখন তার মাটিতে উট পাখির মত কপাল না ঠুকে আল্লাহর কাছে নিজের কৃত গোনাহর স্বীকৃতি দেয়া দরকার। অনুতপ্ত হওয়া দরকার। এর এ কথাটিও মনে রাখা দরকার যে, গোনাহকে তুচ্ছ করার দ্বারা গোনাহকারীর কোনও উপকার হয় না এবং তার গোনাহ সামান্য হালকাও হয় না বরং তা আরো বাড়তে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পবিত্র নামসমূহের অন্তত দু‘টি গুণবাচক নাম বান্দাহর গোনাহ মাফ করার বৈশিষ্ট্য হিসাবে বরাদ্দ রেখেছেন। তিনি বলেন, “তারা কী জানে না, আল্লাহ তা‘আলা তার বান্দাদের তওবা গ্রহণ করে থাকেন।”সূরা আত-তাওবাহ: ১০৪।আল্লাহ আরো বলেন: “তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমুখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও তোমাদের কাছে আযাব আসার পূর্বে। এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না”[সূরা আয-যুমার: ৫৪। SHORTABOLI তওবার শর্তাবলী
ওলামায়ে কেরাম কুরআনের আয়াত ও সহীহ হাদীসের আলোকে তওবার শর্তাদি বর্ণনা করেন। কেননা তওবা নিছক মুখে উচ্চারণের মত বিষয় নয় বরং এর থেকে এমন আ‘মাল বিকাশ হবার বিষয় যা তওবাকারীর সত্যতার উপর ইঙ্গিতবহ। গোনাহটি যদি আল্লাহ ও বান্দার মাঝে হয় অর্থাৎ হাক্কুল্লাহ বিষয়ক হয়; তাহলে এখানে তিনটি শর্ত প্রণিধানযোগ্য:
ক. গোনাহটি মূলোৎপাটিত করতে হবে।খ. কৃত গোনাহটির প্রতি অবশ্যই অনুতপ্ত হতে হবে।গ. এই পরিপক্ক সংকল্প করা যে, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কাজ করব না।
উপরোক্ত তিনটি শর্তের যদি কোনও একটি শর্ত ছুটে যায় তাহলে তওবা শুদ্ধ হয়নি বলে মনে করতে হবে।
PAP TEG  শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য পাপ ত্যাগ করা, অন্য কোন কারণে নয়, যেমন;
* অক্ষমতার কারণে পাপ থেকে দূরে থাকা, এসব কর্ম করতে ভাল না লাগা অথবা লোকজন মন্দ বলবে এই ভয়ে পাপ ত্যাগ করা।
* এজন্য তাকে তাওবাকারী বলা হবে না, যে ব্যক্তি পাপ ত্যাগ করেছে তার মানহানী ঘটায় বা এর জন্য হয়তো সে চাকুরীচ্যুত বা পদবী হারাতে পারে।
* তাকে তাওবাকারী বলা যাবে না, যে ব্যক্তি পাপ ত্যাগ করল তার শক্তি ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য। যেমন; কেউ জেনা করা ত্যাগ করলো যেন দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে বাঁচতে পারে অথবা তার শরীর ও স্মৃতি শক্তিকে দুর্বল না করে। 
RASULER TOWBA  আবু হুরাইরা  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি : আমি দিনের মধ্যে সত্তর বারেরও বেশী আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা (ইস্তেগফার) করি ও তাওবা করি। বর্ণনায় : বুখারীহাদীসটি থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন মাসূম অর্থাৎ সকল পাপ থেকে মুক্ত। তারপরও তিনি কেন ইস্তেগফার ও তওবা করেছেন? উত্তর হলঃ(ক) তিনি উম্মতকে ইস্তেগফার ও তাওবার গুরুত্ব অনুধাবন করানোর জন্য নিজে তা আ‘মাল করেছেন।(খ) পাপ না থাকলেও তাওবা ইস্তেগফার করা যায়। এটা বুঝাতে তিনি এ আ‘মাল করেছেন। আর তখন তওবা ও ইসে-গফারের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে মর্যাদা বৃদ্ধি হয়।(গ) ইস্তেগফার ও তওবা হল ইবাদত। পাপ না করলে তা করা যাবে না এমন কোন নিয়ম নেই। কেহ যদি তার নজরে কোন পাপ নাও দেখে তবুও সে যেন ইসে-গফার ও তওবা করতে থাকে। হতে পারে অজান্তে কোন পাপ তার দ্বারা সংঘটিত হয়ে গেছে বা কোন পাপ করে সে ভুলে গেছে।সত্তর সংখ্যাটি আধিক্য বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সংখ্যা বুঝাতে নয়। তাওবার আবশ্যকীয়তা, ব্যাপকতা ও তাতে নিয়মানুবর্তিতার পরিমণ্ডল থেকে পাপী-তাপী যেমন বহির্ভূত নয়, তেমনি আল্লাহর ওলীগণ ও নবীগণও তার পরিসীমা থেকে বাইরে নন। এটি সর্বাবস্থায় সর্বত্র সকলের জন্য প্রযোজ্য। তাওবা মানুষের জীবনের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
লেখকঃমমিনুল ইসলাম মোল্লা, প্রভাষক, সাংবাদিক ও গবেষক। 

তওবার মাধ্যমে পাপ থকেে মুক্তি
এতে কোনো সন্দহে নইে য,ে তওবাতুন নাসূহ বা পরশিুদ্ধ তওবা প্রতটিি গোনাহগাররে উপর ফরয। এটি আল্লাহর হক আদায়ে উদাসীনতার দরুনই তনিি এই নর্দিশে করনে। পাপরাশকিে নকেীতে রূপান্তরতি হবার ওয়াদা এবং কল্যাণ ও বজিয়স্বরূপ জান্নাতে প্রবশে করানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করনে। উক্ত কথার উদ্দশ্যে এই য,ে ব্যাপক তওবা সকল মুসলমিরে জন্যই সাব্যস্ত। সকল গোনাহরে জন্যও তওবা জরুরী -যগেুলো করতে আল্লাহ নষিধে করনে, যগেুলো পরহিার ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টি র্অজন করা যাবে না।আগার আল-মুযানী রাদযি়াল্লাহু ‘আনহু বলনে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনে,্রيا أيها الناس توبوا إلى الله ، فإني أتوب في اليوم إليه مائة مرةগ্ধ“হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহর নকিট তাওবা কর, আর আমওি দনৈকি একশত বার তাঁর নকিট তাওবা কর।ি”সহীহ মুসলমি, হাদীস নং: ২৭০২।

চঙজওঈঐঙণ তাওবার পরচিয়
তাওবা শব্দরে তা র্বণে যবর ওয়া র্বণে সুকুন যোগে গঠতি হয়। আভধিানকি র্অথ পাপ থকেে ফরিে আসা, প্রত্যার্বতন করা, প্রত্যাগমন করা ইত্যাদ।ি বশিষে পদে র্অথ অনুতাপ, অনুশোচনা। ড. মুহাম্মদ ড. হামদি সাদকি বলনে: (‘তাবাক্রযি়া হতে তাওবা হলো মাসদার। র্অথ পাপ থকেে ফরিে আসা। কৃতপাপরে অনুশোচনা করা। পুনরায় না করার দৃঢ়সংকল্প করা।’
ছটজঅঘ তাওবা সর্ম্পকে কুরআনরে র্বণনা
১.   আল্লাহ তা‘আলা আরও বলনে:﴿وَمَن يَعۡمَلۡ سُوٓءًا أَوۡ يَظۡلِمۡ نَفۡسَهُۥ ثُمَّ يَسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُور ا رَّحِيم ا ١١٠ ﴾ [النساء: ١١٠]
‘যে গোনাহ করে কংিবা নজিরে উপর যুলুম কর,ে অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা র্প্রাথনা কর,ে সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।’ সূরা আন-নসিা, ৪:১১০।
২.   আল্লাহ তা‘আলা মু’মনিগণকে তাওবা করার নর্দিশে দযি়ে বলনে: “হে মু’মনিগণ! তোমরা সকলইে আল্লাহর নকিট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।ে”সূরা আন-নূর : ৩১।
৩.   আল্লাহ তা‘আলা বলনে: “তারা কি জানে না য,ে আল্লাহ তার বান্দাদরে তাওবা কবুল করনে এবং সাদাকা গ্রহণ করনে এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা আত-তাওবা: ১০৪।

ঐঅউওঞঐ তাওবা সর্ম্পকে হাদীসরে র্বণনা
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদযি়াল্লাহু আনহু থকেে র্বণতি, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলনে: “যে ব্যক্তি পাপ থকেে তাওবা করে সে এমন হয়ে যায়, যনে তার কোন পাপই নইে।”ইবন মাজাহ: ৪২৫০।আনাস রাদযি়াল্লাহু ‘আনহু থকেে র্বণতি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলনে:
“মানুষ মাত্রই পাপী, আর পাপীদরে মধ্যে তাওবাকারীরাই উত্তম।জামে তরিমযি,ি হাদীস নং২৪৯৯।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলনে: “আল্লাহ তাঁর মু’মনি বান্দার তাওবার কারণে অধকিতর আনন্দতি হনসহীহ মুসলমি, হাদীস নং২৭৪৪।আবু হুরায়রা রাদযি়াল্লাহু ‘আনহু থকেে র্বণতি, তনিি বলনে, রাসূলু¬ল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনে: “তোমাদরে কউে তার হারানো মাল পুনঃপ্রাপ্ততিে যতটা আনন্দতি হয়, তোমাদরে কারো তাওবায় (ক্ষমা র্প্রাথনায়) আল্লাহ তার চযে়ে অধকি আনন্দতি হয়।জামে তরিমযি,ি হাদীস নং২৪৯৯।আবু হুরায়রা রাদযি়াল্লাহু ‘আনহু থকেে র্বণতি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনে:
“সে সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ। তোমরা যদি গোনাহ না করতে তবে আল্লাহ তোমাদরেকে ধ্বংস করে দতিনে। অতঃপর এমন এক জাতি সৃষ্টি করতনে যারা গোনাহ করতো অতঃপর তারা আল্লাহর নকিট ক্ষমা র্প্রাথনা করত এবং আল্লাহ তা‘আলা তাদরে ক্ষমা করতনে।”সহীহ মুসলমি, 

কওঠঅইঊ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার তওবা দ্বারা যারপরনাই আনন্দতি হন। যমেনটি হাদীসে এসছে:ে ‘খাদমেুন্নবী’ আবু হামযা আনাস ইবনে মালকে রাদযি়াল্লাহু ‘আনহু থকেে র্বণতি: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলনে: “আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার তওবা দ্বারা অতখানি খুশী হন যতখানি খুশী হয় বজিন মরুতে হারযি়ে ফলো উটরে মালকি তার উট প্রাপ্ততি।ে”বুখারী: ৬৩০৯; মুসলমি: ২৭৪৭।কাজইে কোনও মুসলমি যখন গোনাহে লপ্তি হয় তখন তার মাটতিে উট পাখরি মত কপাল না ঠুকে আল্লাহর কাছে নজিরে কৃত গোনাহর স্বীকৃতি দযে়া দরকার। অনুতপ্ত হওয়া দরকার। এর এ কথাটওি মনে রাখা দরকার য,ে গোনাহকে তুচ্ছ করার দ্বারা গোনাহকারীর কোনও উপকার হয় না এবং তার গোনাহ সামান্য হালকাও হয় না বরং তা আরো বাড়তে থাক।ে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পবত্রি নামসমূহরে অন্তত দু‘টি গুণবাচক নাম বান্দাহর গোনাহ মাফ করার বশৈষ্ট্যি হসিাবে বরাদ্দ রখেছেনে। তনিি বলনে, “তারা কী জানে না, আল্লাহ তা‘আলা তার বান্দাদরে তওবা গ্রহণ করে থাকনে।”সূরা আত-তাওবাহ: ১০৪।আল্লাহ আরো বলনে: “তোমরা তোমাদরে পালনর্কতার অভমিুখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও তোমাদরে কাছে আযাব আসার র্পূব।ে এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না”[সূরা আয-যুমার: ৫৪। ঝঐঙজঞঅইঙখও তওবার র্শতাবলী
ওলামায়ে করোম কুরআনরে আয়াত ও সহীহ হাদীসরে আলোকে তওবার র্শতাদি র্বণনা করনে। কনেনা তওবা নছিক মুখে উচ্চারণরে মত বষিয় নয় বরং এর থকেে এমন আ‘মাল বকিাশ হবার বষিয় যা তওবাকারীর সত্যতার উপর ইঙ্গতিবহ। গোনাহটি যদি আল্লাহ ও বান্দার মাঝে হয় র্অথাৎ হাক্কুল্লাহ বষিয়ক হয়; তাহলে এখানে তনিটি র্শত প্রণধিানযোগ্য:
ক. গোনাহটি মূলোৎপাটতি করতে হব।েখ. কৃত গোনাহটরি প্রতি অবশ্যই অনুতপ্ত হতে হব।েগ. এই পরপিক্ক সংকল্প করা য,ে ভবষ্যিতে আর এ ধরনরে কাজ করব না।
উপরোক্ত তনিটি র্শতরে যদি কোনও একটি র্শত ছুটে যায় তাহলে তওবা শুদ্ধ হয়নি বলে মনে করতে হব।ে
চঅচ ঞঊএ  শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য পাপ ত্যাগ করা, অন্য কোন কারণে নয়, যমেন;
* অক্ষমতার কারণে পাপ থকেে দূরে থাকা, এসব র্কম করতে ভাল না লাগা অথবা লোকজন মন্দ বলবে এই ভয়ে পাপ ত্যাগ করা।
* এজন্য তাকে তাওবাকারী বলা হবে না, যে ব্যক্তি পাপ ত্যাগ করছেে তার মানহানী ঘটায় বা এর জন্য হয়তো সে চাকুরীচ্যুত বা পদবী হারাতে পার।ে
* তাকে তাওবাকারী বলা যাবে না, যে ব্যক্তি পাপ ত্যাগ করল তার শক্তি ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য। যমেন; কউে জনো করা ত্যাগ করলো যনে দুরারোগ্য ব্যাধি থকেে বাঁচতে পারে অথবা তার শরীর ও স্মৃতি শক্তকিে র্দুবল না কর।ে 
জঅঝটখঊজ ঞঙডইঅ  আবু হুরাইরা  থকেে র্বণতি, তনিি বলনে, আমি রাসূলুলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনছেি : আমি দনিরে মধ্যে সত্তর বাররেও বশেী আল্লাহর কাছে ক্ষমা র্প্রাথনা (ইস্তগেফার) করি ও তাওবা কর।ি র্বণনায় : বুখারীহাদীসটি থকেে শক্ষিা ও মাসায়লে :- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছলিনে মাসূম র্অথাৎ সকল পাপ থকেে মুক্ত। তারপরও তনিি কনে ইস্তগেফার ও তওবা করছেনে? উত্তর হলঃ(ক) তনিি উম্মতকে ইস্তগেফার ও তাওবার গুরুত্ব অনুধাবন করানোর জন্য নজিে তা আ‘মাল করছেনে।(খ) পাপ না থাকলওে তাওবা ইস্তগেফার করা যায়। এটা বুঝাতে তনিি এ আ‘মাল করছেনে। আর তখন তওবা ও ইস-েগফাররে মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে র্মযাদা বৃদ্ধি হয়।(গ) ইস্তগেফার ও তওবা হল ইবাদত। পাপ না করলে তা করা যাবে না এমন কোন নযি়ম নইে। কহে যদি তার নজরে কোন পাপ নাও দখেে তবুও সে যনে ইস-েগফার ও তওবা করতে থাক।ে হতে পারে অজান্তে কোন পাপ তার দ্বারা সংঘটতি হয়ে গছেে বা কোন পাপ করে সে ভুলে গছে।েসত্তর সংখ্যাটি আধক্যি বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ছে।ে নর্দিষ্টি সংখ্যা বুঝাতে নয়। তাওবার আবশ্যকীয়তা, ব্যাপকতা ও তাতে নযি়মানুর্বততিার পরমিণ্ডল থকেে পাপী-তাপী যমেন বহর্ভিূত নয়, তমেনি আল্লাহর ওলীগণ ও নবীগণও তার পরসিীমা থকেে বাইরে নন। এটি র্সবাবস্থায় র্সবত্র সকলরে জন্য প্রযোজ্য। তাওবা মানুষরে জীবনরে একটি অন্যতম বশৈষ্ট্যি।
লখেকঃমমনিুল ইসলাম মোল্লা, প্রভাষক, সাংবাদকি ও গবষেক। 

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.