ঘুম ভাঙ্গলে সকাল , না ভাঙ্গলে পরকাল

ঘুমের সাথে মৃত্যুর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মরে যাওয়া মানুষটি আর কথা বলে না,  হাসে না,  কাঁদেও না। অনন্তকালের জন্য তার চোখের পাঁপড়ি দুটো বুজে যায়। এ অনিবার্য। এ অবধারিত। মরে যাওয়া মানুষকে মনে হয় সে যেন ঘুমিয়ে আছে, একটু ডাকলেই সাড়া দেবে।

দিনের শেষে আমাদের ভেবে দেখা উচিত আমরা আজ যে যে কাজ করেছি সবগুলো সঠিক নিয়ম অনুযায়ী করেছি কি না ? আল্লাাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন  “প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তারপর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে ” {সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত : ৫৭}।  আমরা কেউ জানি না রাতের এ ঘুম অবশেষে চিরনিদ্রায় পরিণত হয় কিনা। এজন্যই বলা হয় ঘুম ভাঙ্গলে সকাল , আর না ভাঙলে পরকাল। আল্লাহপাক  রাব্বুল আলামিন বলেন, “নিশ্চয় আল্লাহর নিকট কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। আর তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং জরায়ূতে যা আছে, তা তিনি জানেন। আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ স্থানে সে মারা যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত ”{সূরা লুকমান, আয়াত : ৩৪}। ত্ইা আমাদের ভাবতে হবে মৃত্যু অতি নিকটে। মৃত্যুর জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
কুরআন ও সহীহ হাদীস বলছে, নিদ্রাকালে মানুষের রূহ বা আত্মা নিয়ে নেওয়া হয়, যেমন করা হয় তার মৃত্যুকালে। মরণ এসে গেলে এ ঘুম হয়ে যায় চিরনিদ্রা অন্যথায় নিদ্রা টুটে গেলে সে আবার জীবন ফিরে পায়। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
( ٱللَّهُ يَتَوَفَّى ٱلۡأَنفُسَ حِينَ مَوۡتِهَا وَٱلَّتِي لَمۡ تَمُتۡ فِي مَنَامِهَاۖ فَيُمۡسِكُ ٱلَّتِي قَضَىٰ عَلَيۡهَا ٱلۡمَوۡتَ وَيُرۡسِلُ ٱلۡأُخۡرَىٰٓ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمًّىۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ٤٢ ) [الزمر: ٤٢]
“আল্লাহ জীবগুলোর প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফয়সালা করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে”  {সূরা আয-যুমার, আয়াত : ৪২}।  অন্য আয়াতে রাতে মৃত্যুদানের কথা  এবং দিনে জাগিয়ে তোলার কথা বলা হয়েছে । যাতে আমরা নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করতে  পারি। ঘুমালে আত্মা আল্লাহর কাছে চলে যায় এমর্মে বহু হাদিসও রয়েছে। আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,(একবার এক সফরে সাহাবায়ে কেরামের) যখন সালাতের সময় ঘুমে অতিক্রম হয়ে গেল, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাাম বললেন, “নিশ্চয় আল্লাহ যখন চেয়েছেন তোমাদের রূহ কবজা করেছেন আবার তা ফেরত দিয়েছেন যখন তিনি চেয়েছেন।” অতপর তাঁরা প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারলেন ও অযূ করলেন। এরপর যখন সূর্যোদয় হলো এবং আকাশ ফরসা হলো, তাঁরা সবাই দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে নিলেন। [বুখারী : ৭৪৭১]  ঘুমানোর আগে কল্পনা করুন, মৃত ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হচ্ছে- তোমার রব কে, তোমার দীন কী এবং যিনি তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে ? তার গোটা জীবনের কর্মই হবে এসব প্রশ্নের জবাব। সে কি সারা জীবন ঈমানে অবিচল ছিলো? সুন্নতে অটল ছিলো? ইসলামের ফরয বিধান সালাত, সাওম, হজ, যাকাত, পর্দা-পুশিদা, লেনদেন, সততা, অন্যের হক আদায় ইত্যাদি বিধান কি সে যথাযথভাবে পালন করেছে ? এখন আপনার কথা কল্পনা করুন এ প্রশানগুলো আপনাকে জিজ্ঞেস করলে সে সসময় উত্তর দিতে পারবেন কিনা ? যদি উত্তর নাবোধক হয় তাহলে উত্তর খোজার চেষ্টা করুন।
  ঘুমাতে যাওয়া আগে   পরিধেয় বস্ত্র খুলে (বা অন্য কাপড় দিয়ে )  বিছানাটা ঝেড়ে নেয়া উত্তম। কেননা আমরা জানিনা না যে, আমাদের অনুপস্থিাতিতে বিছানায় কি পতিত হয়েছে। ঘুমের মধ্যে এবং আগে পড়ে শয়তানের প্রভাব লক্ষ করা যায়। আবু উমামা (রাঃ) বলেন, তোমাদের কারো স্ত্রী তার জন্য বিছানা পাতার পর শয়তান এসে তাতে খড়কুঁটা, নুড়ি পাথর বা অন্য কিছু ছড়িয়ে দেয় যাতে সে তার স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট হয়। সে (তার বিছানায়) এগুলো দেখতে পেলে যেন তার স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট না হয়। কারণ এটা শয়তানের কারসাজি। (আল আদাবুল মুফরাদ)। 
ঘুমানোর আগে-পরের দু‘আ পড়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না (বুখারি-২৩১১)।  এছাড়া আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত―যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকির ছাড়া শুয়ে পড়বে কিয়াামতের দিন আল্লাাহ তাআলার পক্ষ থেকে আক্ষেপের বিষয় হবে  [আবু দাউদ : ৪৪০০]।  এছাড়া নবী (সাঃ) বলেছেন, রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী (সহীহ তারগীব-৬০২)।
 শয়ন অবস্থায় দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দিবে : তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করবে। মাসেহ আরম্ভ করবে তার মাথা, মুখম-ল ও দেহের সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার করবে অর্থাৎ সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে মাসাহ করবে তাহলে ১ বার হল তারপর আবার সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে মাসাহ করবে তাহলে ২ বার হল এরপর আরও ১ বার করবে সর্বমোট ৩বার) (বুখারি-৫০১৭)। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেছেন : যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ” (বুখারি- ৪০০৮)। এব্যাপারে আরো জানা যায়। বারা ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ قَالَ: ্রاللهُمَّ بِاسْمِكَ أَحْيَا، وَبِاسْمِكَ أَمُوتُগ্ধ وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ: ্রالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَمَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُورُগ্ধ
‘নবী সাঃ যখন শয্যা গ্রহণ করতেন, তিনি বলতেন, আল্লাহুম্মা বিসমিকা আহইয়া ও বিসমিকা আমুতু। (অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনার নামে মৃত্যুবরণ করলাম এবং আপনার নামেই জীবিত হব)। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওজু করা ভাল। তারপর এ দোয়াটি পড়া যায়। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, কেউ যদি ওযু করে ডান কাতে শুয়ে সবশেষে এ দোয়া পাঠ করে তারপর রাতে মৃত্যুবরণ করে, সে ইসলামের উপর মৃত্যুবরণ করবে। দোয়াটি হচ্ছে-“হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিলাম। আমার যাবতীয় বিষয় আপনার কাছেই সোপর্দ করলাম, আমার চেহারা আপনার দিকেই ফিরালাম, আর আমার পৃষ্ঠদেশকে আপনার দিকেই ন্যস্ত করলাম; আপনার প্রতি অনুরাগী হয়ে এবং আপনার ভয়ে ভীত হয়ে। একমাত্র আপনার নিকট ছাড়া আপনার (পাকড়াও) থেকে বাঁচার কোনো আশ্রয়স্থল নেই এবং কোনো মুক্তির উপায় নেই। আমি ঈমান এনেছি আপনার নাযিলকৃত কিতাবের উপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর উপর।”ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একটি ইঁদুর এসে চেরাগের সলিতা টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। একটি বালিকা তার পিছু ধাওয়া করলে নবী (সাঃ) বলেনঃ একে ত্যাগ করো। ইঁদুর সলিতাটি টেনে নিয়ে এসে যে চাটাইয়ে নবী (সাঃ) উপবিষ্ট ছিলেন তার উপর রেখে দিলো। ফলে চাটাইয়ের এক দিরহাম পরিমাণ জায়গা পুড়ে গেলো। তাই রাসূলুল্লাাহ (সাঃ) বলেনঃ তোমরা ঘুমানোর পূর্বেতোমাদের বাতিগুলো নিভিয়ে দিও।  কারণ শয়তান অনুরূপ অপকর্ম করবে এবং তোমাদের অগ্নিদগ্ধ করবে (আবু দাউদ, হাকিম, ইবনে হিব্বান)। অন্য হাদিসে ঘুমানোর আগে দরজা বন্ধ এবং খাদ্য ও পানীয় দ্রব্য ঢেকে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইবনে তিখফা আল-গিফারী (র) থেকে বর্ণিতঃ তার পিতা তাকে অবহিত করেন যে,তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য। তিনি বলেন, একদা শেষ রাতে আমি মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। আমি উপুড় হয়ে ঘুমে বিভোর অবস্থায় একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন। তিনি আমাকে তাঁর পায়ের সাহায্যে নাড়া দিয়ে বলেনঃ ওঠ, এই উপুড় হয়ে শোয়ায় আল্লাাহ অসন্তুষ্ট হন। আমি মাথা তুলে দেখি যে, নবী (সাঃ) আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে (আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, আহমাদ)।  কোন কোন হাদিসে পাওয়া যায় রাসুল সাঃ রাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে সামিয়াল্লাহু হুলিমান হামিদাহ (কেউ আল্লাহর প্রশংসা করলে তিনি তা শোনেন) এবং আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন (সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য) বলছেন। রাসুল সাঃ বেষ্টনীবিহীন ছাদে ঘুমাতে নিষেধ করেছেন। এত কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সে নিজেই দায়ী হবে। ডান কাত হয়ে মাথা কেবলামুখী রেখে ঘুমাতে হয়। পায়ের উপর পা রেখে ঘুমানো যায় তবে উপুড় হয়ে ঘুমানো যাবে না। দিনের বেলা না ঘুমানো ভালো। খাওয়াত ইবনে জুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ দিনের প্রথমাংশের ঘুম হলো অস্বাভাবিক, মধ্যাহ্নের ঘুম হলো অভ্যাস এবং শেষ বেলার ঘুম হলো আহম্মকি। (জামে সুফিয়ান ইবনে উযাই,  নাসাঈ)। রাত্রে খারাপ স্বপ্ন দেখে জেগে উঠলে বাম দিকে তিনবার থুথু মারুন, শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চান, যে দুঃস্বপ্ন দেখেন, সেই মন্দ ও ক্ষতি থেকেও রক্ষা প্রার্থনা করুন এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করে শয়ন করুন। ভয়ে ঘুম নাএলে উঠে নামায পড়তে শুরু করুন।খারাপ স্বপ্নের কথা কাউকে বলবেন না। অবশ্য সুস্বপ্ন হলে আত্মীয়-বন্ধুকে বলতে পারেন। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমালে সুন্নতের অনুসরণ হয়, শরীরকে আরাম দেওয়া যায় , ফজরের নামাযের জন্য খুব সহজে এবং পূর্ণ শক্তি ও চাঞ্চল্যতার সাথে জাগ্রত হওয়া যায়। এছাড়া তাহাজ্জুদের নামাযের জন্য শেষ রাতে জাগ্রত হতে ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্য এটি বড় সহায়ক । মুসলমান অবশ্যই সর্বদা ফজরের নামাযের পূর্বে জাগ্রত হবে যেন নামায সময় মত জামাতের সাথে ঠিকভাবে আদায় করতে পারে। এ ব্যাপারে চেষ্টা করা এবং এতে সহায়তাকারী উপকরণাদি গ্রহন করা তার জন্য ওয়াজিব।হাদিসে বর্ণিত হয়েছে
سئل النبي عن رجل نام حتى أصبَح؟ ্ذاك رجل بال الشيطان في أذنيهالنسائي (১৫৯০)এক ব্যক্তি ফজর পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিল তার সম্পর্কে রাসূল সাঃ  প্রশ্ন করা হল। রাসূল বললেন : ঐ ব্যক্তির কর্ণ-দ্বয়ে শয়তান প্রস্রাব করে দিয়েছে   [নাসায়ী : ১৫৯০]।  আর ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর রাসুলে আকরাম সাঃ বলতেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ হিল্লাজি আহইয়ানা বাদা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন্নুশুর।’ (অর্থ যাবতীয় প্রশংসা ওই আল্লাাহর জন্য যিনি আমাকে মৃত্যু দেয়ার পর জীবিত করে দিয়েছেন এবং তার কাছেই ফিরে যাব) [মুসলিম : ২৭১১]। আল্লাাহপাক রাব্বুল আলামি বলেন-“----অনুরূপভাবে সে ঘুম থেকে জাগ্রত হলে একজন ফেরেশতা ও একটি শয়তান তার দিকে ধাবিত হয় এবং তারা পূর্বানুরূপ কথা বলে। সে যদি আল্লাাহকে স্মরণ করে এবং বলে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমার মৃত্যুর পর আমার জীবনটা আমার নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং ঘুমের মধ্যে মৃত্যুদান করেননি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, “যিনি আকাশম-লী ও পৃথিবীকে স্থানচ্যুত হওয়া থেকে রুখে রেখেছেন। যদি এই দুটি স্থানচ্যুত হয় তবে তিনি ছাড়া কেউই এদের প্রতিরোধ করে রাখতে পারবে না। নিশ্চয় তিনি পরম সহিষ্ণু, পরম ক্ষমাশীল” (সূরা ফাতির : ৪১)।  মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে যা কিছু অতি জরুরী ঘুম তার অন্যতম। মুমিন বান্দা যদি ঘুমের মাধ্যমে দেহ ও মনকে আরাম দেওয়ার নিয়ত করে , যাতে করে সে আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের বিষয়ে আরো দৃঢ় হতে পারে। অতঃপর ঘুমের সমস্ত সুন্নত ও শরয়ী আদব পরিপূর্ণ রূপে পালন করার চেষ্টা করে , তবে তার ঘুম এবাদত হিসাবে পরিগণিত হবে এবং সে পুণ্য লাভ করবে।
লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা,রাষ্ট্রবিজ্ঞানের  প্রভাষক , কলাম লেখক ও ধর্মীয় গবেষক, কুমিল্লা।

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.