অহির আলোকে-ধূমপান ছেড়ে দেয়া
অহির আলোকে-ধূমপান ছেড়ে দেয়া
মমনিুলইসলামমোল্লা
।
সুরা মায়েদাতে ( আয়াত -৪) আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, “ তারা
আপনাকে জিজ্ঞাসা করে যে, তাদের
জন্য কি হালাল করা
হয়েছে ? বলুন, সকল প্রকার
ভাল পবিত্র জিনিস তোমাদের
জন্য হালাল করা হয়েছে।
আল্লাহ
বলেন, হে মুমিনগণ ! আমি
তোমাদেরকে যে পবিত্র রিযিক
দিয়েছি তা থেকে ই
তোমরা ভক্ষন কর এবং
আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
যদি তোমরা সত্যিকার অর্থে
তার ইবাদত করে থাক ( বাকারা-১৭২) ।
জাহান্নামীদের
খাবারের ব্যাপারে আল্লাহ পাক রাব্বুল
আলামিন বলেন,“ এটা তাদের
পুষ্টি ও যোগায় না
ও ক্ষুধা ও নিবারন
করবে না। ( আল
গাশিয়া ৭)
আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, তোমরা
তোমাদের নফসকে হত্যা করোনা। নিশ্চয়ই
অল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহশীল ( সুরা
নিসা ২৯)।
আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, তোমরা
তোমাদের নিজেদের ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করো
না ( বাকারা ২/৯৫)
।
আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, “ তারা
আপনাকে মদ ও জুয়া
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে । বলে
দিন উভয়ের মধ্যে রয়েছে
মহাপাপ। আর
তার মধ্যে মানুষের উপকারিতাও
আছে। তবে
এগুলোর পাপ উপকারের চেয়ে
বড় ( বাকারা ২/২১৯)
।
আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, “ তোমরা
অপচয় কর না।
আপচয়কারীরা শয়তানের ভাই ( আল ইসরা
২৭) ।
পবিত্র
কুরআনে আল্লাহ পাক রাব্বুল
আলামিন বলেন, “ তিনি তোমাদের জন্য
হালাল করে দেন ভাল
ও উত্তম বস্তু আর
হারাম করে দেন খারাপ
ও ক্ষতিকর বস্তু ( অঅল আরাফ ১৫৭)।
আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন- “ হে
মুমিনগণ তোমরা সকলেই আল্লাহর
নিকট তওবা কর।
হয়তো তোমরা সফলকাম হতে
পারবে (নূও -৩১)।
আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন, “আমি ক্ষমাশীল সেই
ব্যক্তির জন্য, যে ব্যক্তি
তওবা করে, ঈমান আনে
এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে,
অতঃপর হেদায়েত প্রাপ্ত হয় ( তোহা-৮২)
।
আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, “ তারা
আপনাকে জিজ্ঞাসা করে যে, তাদের
জন্য কি হালাল করা
হয়েছে ? বলুন, সকল প্রকার
ভাল পবিত্র জিনিস তোমাদের
জন্য হালাল করা হয়েছে। সকল
প্রকার ধূমপান অপবিত্র, এর
মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।
আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামিন বলেন, “ এবং
যে ব্যক্তি আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে
তিনি তার কাজকে সহজ
করে দেন
মদের ব্যাপারে কোরান- হাদিসে সরাসরি
নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মদকে
দশটি দিক থেকে অভিসম্পাৎ
করা হয়েছে। মদপানকারী,
পরিশোধনকারী, বিক্রেতা, ক্রেতা, প্রস্তুতকারক, যার জন্য প্রস্তুত
করা হয়। তাছাড়া
তা বহনকারী, যার জন্য বহন
করা হয় এবং এর
মূল্য ভক্ষণকারীকে অভিসম্পাৎ করা হয়েছে ( মুসনাদে
আহমদ) ।
রাসুলে
আকরাম সাঃ বলেন, “ আল্লাহ
রাব্বুল আলামিন তোমাদের তিনটা
বিষয় ঘৃনা করেন।
১. ভিত্তিহীন ও সনদ - সূত্রহীন
কথা বার্তা ২. অধিকহারে
প্রশ্ন করা ৩. সম্পদ
নষ্ট করা ( বোখারি)।
রাসুলে
আকরাম সাঃ বলেন, যে
ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে
বিশ্বাস রাখে সে যেন
তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়
( বোখারি)।
রাসুলে
আকরাম সাঃ কোন ব্যক্তির
দীর্ঘ ভ্রমণের কথা জানিয়ে বলেন,
লোকটির কেশ এলোমেলো অবস্থায়
আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে
বলে, হে আল্লাহ! অথচ
তার আহার হারাম, পানীয়
হারাম, পোশাক পরিচ্ছেদ হারাম,
শরীর গঠন হয়েছে হারাম
দিয়ে, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, তাহলে
কিভাবে তার দোয়া কবুল
হবে ( মুসলিম)
?
“ যখন
কোন ব্যক্তি অপবিত্র মাল দ্বারা হজ্বের
জন্য বের হয়ে তার
পা বাহনে রেখে লাব্বাইক
বলে তাকবীর দেয়, তখন
আকাশ থেকে আহবানকারী বলতে
থাকেন কোন লাব্বায়েক নয়
এবং তোমাকে স্বাগতও নয়। তোমার
আহার হারাম, তোমার মাল
হারাম এবং তোমার হজ্ব
তোমার উপর প্রত্যাখ্যাত ( তাবরানী)।
আবু দারদা রাঃ বলেন,
রাসুল সাঃ বলেছেন, সর্বদা
নেশাদার দ্রব্য পানকারী জান্নাতে
যাবে না ( ইবনু মাজাহ)
।
ইবনু বাশীর রাঃ
হতে বর্ণিত । তিনি
বলেন, রাসুলে আকরাম সাঃ
বলেছেন, হালাল স্পষ্ট হারামও
সুষ্পষ্ট। উভয়ের
মাঝে বহু অস্পষ্ট বিষয়
রয়েছে। যে
ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয়ে লিপ্ত হলো
সে প্রকারান্তরে হারাম কাজে লিপ্ত
হয়ে গেল।
মুসনাদে
আহমদের একটি হাদিসে বলা
হয়েছে, “ নিজের কোন অনিষ্টতা
বা ক্ষতি এবং
অন্য কারো ক্ষতি করা
যাবে না। ”
মদপানকারী,
পরিশোধনকারী, বিক্রেতা, ক্রেতা, প্রস্তুতকারক, যার জন্য প্রস্তুত
করা হয়। তাছাড়া
তা বহনকারী, যার জন্য বহন
করা হয় এবং এর
মূল্য ভক্ষণকারীকে অভিসম্পাৎ করা হয়েছে ( মুসনাদে
আহমদ) ।
। সৌদি আরবের প্রধান
মুফতিকে ধূমপানের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে
তিনি বলেন- “ধূমপান হারাম,
কেননা তা অপবিত্র এবং
বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি বহন
করে, আর আল্লাহ তায়ালা
তার বান্দাদের জন্য ভাল ও
পবিত্র খাবার এবং পানীয়
হালাল করেছেন । পক্ষান্তরে
অপবিত্র জিনিস তাদের উপর
হারাম করেছেন। ”আমা
মমনিুলইসলামমোল্লা
।
No comments