বারজাখী জীবনে পূণ্যাত্মার ইচ্ছেমত পরিভ্রমন


     

মমিনুল ইসলাম মোল্লা:
মানুষের দেহের সাথে সাথে আত্মার সম্পর্ক সুগভীর। শুধু তাই নয় মানবতার বিকাশে আত্মার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন ক্বলব বা আত্মার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্মারোপ করেছেন। সমস্ত নাবি-রাসুলগণ এবং আসমানি কিতাবসমূহের একমাত্র মিশন হলো মানবতার সংশোধন। আত্মার সংশোধন শুধু একজন মানুষের জন্যই নয় বরং ইহকালীন পরকালীন জীবনের শান্তিশৃংখলা সমৃদ্ধি এর উপর নির্ভরশীল। মৃত্যুর মাধ্যমে আত্মা প্রবেশ করেবারজাখী জীবনে আত্মা হলো শাসক। আর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হলো তার প্রজা। যখন শাসক ভাল হয় আর যখন শাসক খারাপ হয় তখন তার প্রজারাও খারাপ হয়। সুতরাং আত্মাই হল মানুষের চালিকাশক্তি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নিয়ন্ত্রক। আত্মার নিয়ন্ত্রণের উপর নির্ভর করে ইহকালীন পরকালীন শাস্তি অথবা প্রশান্তি। আত্মার দুশমন হলো মানুষের সাথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেলামেশা, কেননা এর ফলে জাগতিক কথাবার্তা . অধিক হাসি ঠাট্টা খেল -তামাশা, সমালোচনা , মিথ্যা অপবাদ। ইত্যাদি সংগঠিত হয়ে থাকে। লোকজনের সাথে অতিরিক্ত দেখা সাক্ষাৎ হলে অতিরিক্ত কথা বলার সুযোগ হয়
অতিরিক্ত কথা বল্লে মানবাত্মা দুর্বল হয়ে যায়। রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেন, মানুষ তার উদরের চেয়ে অধিক খারাপ আর কোন পাত্রকে পূর্ণ করেনা। বনী আদমের জন্য কয়েক লোকমাই যথেষ্ট যা দ্বারা সে তার মেরুদন্ডসোজা করে দাঁড়াতে পারে( তিরমিজি) কাব ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেন, মুমিনের আত্মা জান্নাতে পাখীর মত, জান্নাতের গাছের সাথে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত ঝুলতে থাকবে। তারপর যখন কেয়ামতের দিন সমগ্র মানুষকে পুনরায় জীবন দান করা হবে, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের রুহকে তাদের দেহে আবার ফেরৎ দেবেন ( মুসনাদে আহমদ-৪৫/) শহীদদের রুহগুলো আলমে বারযাখে বিশেষ মর্যাদা পাবে। তাদের রুহগুলো হলুদ পাখির পেটের মধ্যে অবস্থান করবে। আরশের সাথে ঝুলানো প্রজ্বলিত বাতি, তারা তাদের ইচ্ছামত সেখানে ভ্রমন করতে থাকে তারপর তারা আবার ঐসব বাতির নিকট চলে আসে(মুসলিম-১৮১৭) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) কে যখন নিম্নক্ত আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, “ যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে কখনো তোমরা মৃত মনে করো না। বরং তারা জীবিত তাদের প্রতিপালকের কাছে থেকে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত ( আল ইমরান-১৬৯) তখন তিনি বল্লেন, আমরা এব্যপারে রাসুল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেন, শহীদদের রুহ সমূহ সবুজ পাখির অভ্যন্তরে তাদের রয়েছে আরশের সাথে ঝুলানো প্রজ্বলিত বাতি , তারা তাদের ইচ্ছামত যেথানে ইচ্ছা ভ্রমণ করতে থাকে তারপর তারা আবার ঐসব বাতির নিকট চলে আসে।একবার তাদের প্রভূ তাদেরদিকে তাকালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন তোমাদেরকি কোন আকাংখ্যা আছে ? জবাবে তারা বলল ,আমাদের আর কি আকাংখা থাকতে পারে আমরা তো যথেচ্ছভাবে জান্নাতে বিচরণ করছি
আল্লাহতায়ালা তাদের সাথে এরুপ তিনবার করলেন। যখন তারা দেখল জবাব না দিয়ে প্রশ্ন থেকে রেহাই পাচ্ছে না তখন তারা বল্ল হে আমাদের রব , আমাদের অকাংখা হয় যদি আমাদের রুহগুলোকে আমাদের দেহে ফিরিয়ে দিতেন আর পুনরায় আমরা আপনার পথে নিহত হতে পরতাম ( মুসলিম-১৮৮৭) কিয়ামত আসার সময় কোন মুসলমান জীবিত থাকবেন না। অর্থাৎ কেয়ামত হবে অমুসলিমদের উপর। কিয়ামতের পূর্বে এক বাতাস প্রবাহিত হবে। তখন সকল মুমিন মুসলমান মারা যাবে। সামান্য ঈমানও যার অন্তরে আছে তার রুহ সে বাতাস কবয করে নেবে। আহমদ ইবনু আবদা আযযাব্বী (রঃ) — আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুলল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন আল্লাহ কিয়ামতের আগে ইয়ামেন থেকে এক বাতাস প্রবাহিত করবেন,
যা হবে রেশম অপেক্ষাও নরম। যার অন্তরে দানা পরিমান , ঈমান থাকবে তার রুহ্ বাতাস কবজ করবে(মুসলিম ইফা -২১৩) শহীদগণ পরবর্তীতে আসা শহীদদের দেখে খুশি হয়। তাদের সাথে দেখা হওয়ায় তারা আনন্দতি প্রফুল্ল হয়। তারা দুনিয়ার অন্যান্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে খোজ খবর নেয়। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন- তারা তাদের রবের নিকট জীবিত তাদেরকে রিযিক দেয়া হয় ( অল -ইমরান ১৬৯) তাদের বিষয়ে মসহাসত্য আল কুরআনে বলা হয়ে হয়েছে-“ তারা আল্লহর পক্ষ থেকে নিয়ামত অনুগ্রহ লাভ করে খুশী হয় ( ইমরান-১৭১) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- তারা ( শহীদগণ) জীবিত। আর জীবিতরা পাস্পর পরস্পরের সাথে মিলিত হয় দেখা সাক্ষাত করে। নিয়ামতপ্রাপ্ত রুহ সুসংবাদপ্রাপ্ত রুহ। এসব রুহ বিচরণকারী হবে, এরা আবদ্ধ থাকবে না। তারা পরস্পর মিলিত হয়ে দুনিয়ার দুনিয়াবাসীদের ব্যাপারে কথাবার্তা বলবেন এবং নিজেরা নিজেদের পরিচিতদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করবেন
কবর দেয়ার পর কবরের পাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করা ভাল। মৃত ব্যক্তি তা- কামনা করে। আমর ইবনুল আস (রাঃ) মৃত্যুর পূর্বে তার সন্তানকে বলেছিলেন, “ আমাকে যখন দাফন করবে তখন আমার উপর আস্তে আস্তে মাটি ফেলবে এবং দাফন সেরে একটি উট জবাই করে তার গোশত বন্টন করতে যে সময় লাগে , ততক্ষণ আমার কবরের পাশে অবস্থান করবে যেনো তোমাদের উপস্থিতির কারণে আমি অাতঙ্কমুক্ত অবস্থায় চিন্তা করতে পারি যে, আমার রবের দূতের ( ফিরিশতার)কী জবাব দেবো( মুসলিম ১২১) আমরা মৃত ব্যক্তিদের আলাদা আলাদা কবরে দাফন করি। দাফন করার পর প্রশান্ত অঅত্মাগুলো পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে কি না এব্যপারটি স্পষ্টভাবে বুঝা প্রয়োজন। প্রশান্ত আত্মার জান কবজ করার সময় মালাকাল মাউত তাকে বলেহে প্রশান্ত আত্মা ! তুমি ফিরে আস তোমার রবের প্রতি সন্তোষভাজন হয়ে। অতঃপর আমার বান্দাদের মধ্যে শামিল হয়ে যাও। আর প্রবেশ করো আমার জান্নাতে( আল ফাজর ২৭-৩১) মানুষের রুহ কবজ করার সময় কারো কারো চোখ উল্টো হয়ে যায়। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) —উম্মে সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আবু সালমা (রাঃ) এর কাছে গেলেন। তখন তার চোখগুলো উল্টো রয়েছে। রাসুল সাঃ চোখগুলো বন্ধ কওে দিলেন। এবং বল্লেন, রুহ যখন নিয়ে যাওয়া হয় তখন চোখ তৎপ্রতি অপলক দৃষ্টিতে তইকয়ে থাকে। —-( মুসলিম-১৯৯৯) সহিহ মুসলিমে বর্ণিতহয়েছে, (ইফা ৬৪৮২) আবু বকর ইবনু অঅবু শায়বা রহআব্দুল্লাহ ইবনু অআবু শায়বা রহঃআব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শুক্র তার মাতৃ উদওে চল্লিশ দিন জমাট থাকে। এরপর অনুরুপ ৪০ দিনে রক্তপিন্ডে পরিনত হয় এরপর অনুরুপ ৪০ দিনে তা একটি গোশÍ পিন্ডে পরিনত হয়
এরপর আল্লাহর পক্ষ তেকে একজন ফেরেস্তা ফাঠানো হয়। সে তাতে রুহ ফিকে দেয়। অঅর তাতে রিজিক , মৃত্যু, কর্ম লিখে দেয়া হয়। ঘুমের সময় অঅত্মা রুহের জগতে চলে যায়। এসময় মৃত ব্যক্তির পুন্্যাত্মাগুলো তাদেও পরিচিতজনের আত্মার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তাদেরকে বুদ্ধি -পরামর্শ দিতে পারে। জীবিত ব্যক্তি ঘুম খেকে জেগে দা স্মরণ করতে পারে। এবং সে অনুযায়ী নিজেকে পরিচালিত করতে পারে। এভাবে কোন ব্যক্তি ভবিষ্যতের কথাও অনুমান করতে পারে।ন। মহাসত্য আল কুরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদেও মৃত্যৃও সময় এবং যারা মরেনি তাদেও নিদ্রার সময় তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফায়সালা করেন তার পাণ রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরয়ে দেন। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয় এত চিনবতাশীল জাতির জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে ( অঅযযুমার ৪১) কবরের সবকটি প্রশ্নের জবাব দিতে পারলে তার জন্য জানানতের বিছানা বিছিয়ে দেয়া হবে এবং জানানতের দিকে একটা দরজা খুলে দেয়া হবে। তখন তার কবওে জান্নাতের মৃদুমন্দ বাতাস সুগন্ধ অঅসতে থাকে। সে ব্যক্তির কবরকে দৃষ্টিসিীম্ পর্যন্ত বিস্তৃত কওেেও দেয়া হয়। মিরাজের সময় রাসুলে আকরামসাঃ প্রথম অঅসমানে দেখা করেন প্রথম নবী মানুষ অঅদম অঅঃ এর সাথে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখলেণ অনেকগুলো মানুষের অঅকৃতি তার ডান পাশে রয়েছে এছাড়া অনেকগুলো আকৃতি তারবাম পাশেও রয়েছে যখন তিনি ডানদিকে তাকাচ্ছেনতখন হাসছেন আর যখন তিনি বাম তিকে তাকাচ্ছেন তখন কাদছেন। তিনি জানতে পারলেন ডানদিকের রুহগুলো জান্নাতি অঅর বামদিকের রুহগুলো জাহান্নামী। আল্লাহর দু আঙ্গুলের মাঝে সমস্ত অন্তরসমূহ বিদ্যমান। তইি আল্লাহর সাথে প্রতনিয়ত আমাদেও যোগাযোগ হচ্ছে। রাসুলেল আকরাম সাঃ বলেন, বান্দার অন্তরসমূহ রহমানের অঅঙ্গুলের মাঝখানে একটি ন্তরের মত। তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা নাড়াচাড়া করেন। প্রত্যেক রুহ তার অঅমল অনুযায়ী তার পরিচিত বন্ধুর সাথে থাকবেন। অঅল্লঅহ রাব্বুল আলামিন বলেন, “ অঅর যারা অঅল্লাহ রাসুলের অঅনুগত্য কওে তারা তাদেও সাথে থাকবে . আল্লাহ যাতের উপর অনুগ্রহ করেছেন নবী, সিদ্দিক, শহীদ সৎকর্মশূীলদেও মধ্য থেকে অঅর সাথী হিসাবে তারা হবে অনেক উত্তম ( অঅন নিসা- ৬৯)
মুমিন ব্যক্তির মৃত্যুর সময় মালাকাল মাউতের সাথে একদল রহমতের ফেরেস্তা থাকেন। মালাকাল মাউত বলবে হে প্রশান্ত আত্মা আল্লাহর রহমতের দিকে আস। তখন সহজেই আত্মা বের হয়ে আসবে। রহমতের ফেরেস্তারা কাফনের কাপড় জান্নাতের সুগন্ধী ভরে আকাশে উঠে যায়। তারপর ইল্লিনে তার নাম লিপিবদ্ধ করে আবার কবরে তার দেহে ফেরৎ দেয়া হয় (মুসলিম ,ইফা ৬৯৫৭) রুহসমূহ স্তর অনুসারে বরযাখে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। কোন রুহ উর্র্ধ্ব জগতের সর্বোচ্চোইল্লিয়নেঅবস্থান করে। এগুলো হলো নবীদের রুহ। তাদের রুহ নিজেদের মর্যাদা অনুসারে বিভিন্ন অবস্থানে থাকবে। যেমনটি নবিজি মেরাজের রাতে দেখেছেন। কবর যিয়ারতের সময় আমরা মৃত ব্যক্তিকে সালাম দেই। সালামের জবাব তারা দিচ্ছেন কি- না তা আমরা বুঝতে পারিনা। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতযখন কোন মুসলিম ব্যক্তি দুনিয়াতে পরিচিত তার কোন মৃত ভাইয়ের কবরের পাশ দিয়ে গমন করে এবং তাকে সালাম দেয়। তখন সালামের উত্তর দেয়ার জন্য আল্লাহ তার রুহকে ফেরৎ দেন
রুহ সম্পর্কে আমাদের পক্ষে অতিরিক্ত জানা সম্ভব নয়। অতিরিক্ত চিন্তা করতে গেলে ভুল হওয়ার সম্ভবানা থাকে। আমাদেরকে বিস্তারিত জ্ঞান দান করা হয়নি। সহীহ বুখারি ৪৭২১ নং হাদিসে বলা হয়েছে, উমর ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস (রহঃ) — আব্দুল্লাহ (রাঃ)থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন আমি রাসুলে আকরাম (সাঃ) এর সাথে একটি ক্ষেতের মাঝে উপস্থিত ছিলাম। তিনি একটি খেজুর এর লাঠি ভর করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় কিছু সংখ্যক ইহুদী যাচ্ছিলেন। তারা এক অন্যকে বলতে লাগল তাকে রুহ সম্পর্কে প্রশ্ন কর। কেউ বল্ল কেন তাকে জিজ্ঞেস করতে চাইছ ? আবার কেউ বল্ল, তিনি এমন উত্তর দিবেন না যা তোমরা পছন্দ কর। তারপর তারা বল্ল যে, তাকে প্রশ্ন কর। এরপর তাকে প্রশ্ন করা হলো। রাসুল (সাঃ) বিরত রইলেন। সম্পর্কে তাদের কোন উত্তর দিলেন না। আমি বুঝতে পারলাম তার উপর ওহি নাযিল হবে। আমি আমার যায়গায় দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর যখন ওহি নাযিল হলো তখন তিনি রাসুল (সাঃ) বল্লেন, “তোমাদেরকে তারা রুহ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছে। বল, রুহ আমার রবের আদেশ এবং তোমারেকে সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে। ( বনি ইসরাইল) প্রকৃতপক্ষে আত্মার কোন মৃত্যু নেই। আত্মা স্থান পরিবর্তন করে। সাধারণভাবে আত্মার মৃত্যু হলো শরীর থেকে মৃত্যুর মাধ্যমে আলাদা হওয়া। শরীর থেকে বের হওয়ার পর নিয়ামত আযাব ভোগের স্থানে অবশিষ্ট থাকে
লেখকঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক , সাংবাদিক ধর্মীয় গবেষক, কুমিল্লা13/07/2018

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.