মমিনুল ইসলাম মোল্লার সাংবাদিকতা জীবন ও একটি যৌক্তিক বিশ্লেষণ

মমিনুল ইসলাম মোল্লার সাংবাদিকতা জীবন ও একটি যৌক্তিক বিশ্লেষণ স্টাফ রিপোর্টার।। বাংলাদেশের সাংবাদিকতা অঙ্গনে সাহসী ও তথ্যনিষ্ঠ কলম সৈনিক হিসেবে মমিনুল ইসলাম মোল্লা একটি উজ্জ্বল নাম। ১৯৯০ সাল থেকে পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি দীর্ঘ কর্মজীবনে সংবাদমাধ্যম, সমাজ ও শিক্ষাক্ষেত্রে রেখে চলেছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। সূচনা ও শিক্ষাজীবন মমিনুল ইসলাম মোল্লার সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। ১৯৯১ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি পেশাদারভাবে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন। ছাত্রজীবন থেকেই পত্রিকার প্রতি তাঁর টান গভীর। শুরুতে ছোটখাটো সংবাদ লেখেন, তবে পরবর্তীতে তিনি ফিচার ও বিশ্লেষণধর্মী কলামে মনোনিবেশ করেন। তাঁর লেখাগুলো তথ্যসমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি পাঠকের মনে সাড়া জাগায়। কর্মজীবন ও পেশাগত অবদান কুমিল্লার সাংবাদিকতা অঙ্গনে তিনি একটি পরিচিত নাম। মুক্তকণ্ঠ, সমকাল, ইটিভি, সময় টিভি, সিএসবি নিউজসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে কাজ করছেন। পাশাপাশি ‘এখন টিভি’র জেলা প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনে তিনি শুধু সংবাদ পরিবেশক নন, বরং সাংবাদিক সংগঠনে নেতৃত্ব দেন, নতুনদের দীক্ষা দেন এবং সহকর্মীদের অনুপ্রেরণা জোগান। এজন্য তাঁকে অনেকেই একজন অভিভাবক হিসেবেও মানেন। সাংবাদিকতার ধরন ও বৈশিষ্ট্য মমিনুল ইসলাম মোল্লার সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য বহুমুখী। ১. তথ্যনির্ভরতা – তিনি কুমিল্লার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ এবং সমাজ-অর্থনীতির নানা দিক গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন। ২. সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি – চাপ, হুমকি বা প্রলোভনকে উপেক্ষা করে সত্য প্রকাশে তিনি আপসহীন থাকেন। ৩. প্রভাব ও জনপ্রিয়তা – তাঁর লেখা কেবল সংবাদেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং সমাজে আলোচনার জন্ম দেয়। পাঠকরা তাঁকে “তথ্যভান্ডার” হিসেবেই জানেন। সামাজিক প্রভাব ও উত্তরাধিকার তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয়। শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখেন এবং সহকর্মীদের উন্নত সাংবাদিকতার পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন। সহকর্মীরা মনে করেন, তাঁর শূন্যতা পূরণ করা সহজ নয়। তিনি নীতি ও চরিত্রের প্রতীক, যিনি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। যৌক্তিক বিশ্লেষণ তাঁর সাংবাদিকতার মূল শক্তি সত্যনিষ্ঠা, তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং জনকল্যাণে নিবেদিত মনোভাব। তিনি প্রমাণ করেন, একজন সাংবাদিকের সবচেয়ে বড় শক্তি কলমের পাশাপাশি সততা ও সাহস। বর্তমান সময়ে যখন সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নানা চ্যালেঞ্জের মুখে, তখন তাঁর কর্মধারা নতুন প্রজন্মকে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার দিশা দেখায়। উপসংহার সার্বিকভাবে বলা যায়, মমিনুল ইসলাম মোল্লা একাধারে সাংবাদিক, শিক্ষক ও সমাজসেবক। তাঁর কর্মজীবন মনে করিয়ে দেয়—সাহস ও সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করলে সমাজে স্থায়ী প্রভাব ফেলা সম্ভব। তাঁর অবদান সাংবাদিক সমাজে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে এবং আগামীতেও জোগাবে।

No comments

Theme images by mammuth. Powered by Blogger.